লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলু চাষ
Published : Thursday, 30 January, 2020 at 1:29 PM Count : 394
বাম্পার ফলনের পাশাপাশি লাভের স্বপ্ন দেখছেন নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আলু চাষিরা। উপজেলার প্রতিটি মাঠ জুড়ে এখন শুধু সবুজের সমারোহ। বার বার ধানে লোকসান হওয়ায় কৃষকরা বিকল্প আবাদ হিসেবে আলু চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন।
এ বছর বন্যা না হওয়ার কারণে রোপা-আমন ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে রবি শষ্যের উপযোগী চাষযোগ্য জমিতে কৃষকরা আগাম জাতের আলু চাষ করেন। সরকারি পর্যায়ে কৃষকদের কৃষি উপকরণসহ রাসায়নিক সার বিনামূল্যে যথাসময়ে বিতরণ করায় এই উপজেলার কৃষকরা আগাম আলুর চাষ করেছেন। ভালো ফলনের আশায় উপজেলার কৃষকরা রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বসে নেই কৃষি কর্মকর্তারাও। চলতি রবিশস্য মৌসুমে কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা না দেওয়ায় এবং আলু চাষের পরিবেশ অনুকূলে থাকায় আলুর পাশাপাশি সরিষা, গম ও ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবিশস্য মৌসুমে এবারে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ১ হাজার ৪শ ৪৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও এ বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে আলু চাষিদের কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে যথাযথ পরামর্শ ও কারিগরী সহযোগিতার কারণে আলুক্ষেত অনেকটা রোগ-বালাই মুক্ত হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। উপজেলার সদর, মিরাট, কাশিমপুর ও একডালা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়েছে।
মিরাট গ্রামের কৃষক রহিম উদ্দিন বলেন, আমি এ বছর ৫ বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছি। হিমাগারে কিছু বীজ রেখেছিলাম আর বাঁকিটা কিনে জমিতে রোপণ করেছি। আলু গাছ ভালো হওয়ায় মনে হচ্ছে এবার আলুর আশানুরুপ ফলন পাবো। ইতিমধ্যে কিছু জমির আলু উত্তোলন করে বাজারজাত করেছি। ফলন ও দাম দুটোই ভালো রয়েছে। তাই বর্তমান বাজার দর অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে কৃষকরা ধানের ক্ষতি পুষিয়ে পুরোদমে ইরি-বোরো চাষ করতে পারবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় উন্নত জাতের ক্যাডিন্যাল, ডায়মন্ড ও স্থানীয় জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। আশা করছি হেক্টর প্রতি ১৭-১৮ মেট্টিক টন ফলন পাবেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই কিছু কিছু জমি থেকে কৃষকরা আলু উত্তোলন ও বাজারজাত শুরু করেছেন। মৌসুমের শুরুতেই আলুর বাজার খুব ভালো ছিলো এবং বর্তমানেও ভালো আছে। তাই কৃষকরা এবার আলুর দামে ভালো লাভবান হবেন বলে আশা করছি।
-এমএ