গাজীপুরে ১ হাজার বাড়ির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
Published : Tuesday, 28 January, 2020 at 5:23 PM Count : 460
গার্মেন্টস কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের থাকার জন্য ব্যক্তি মালিকানায় গড়ে তোলা হয়েছে কলোনী। প্রতিটি কলোনীতে রয়েছে কয়েক হাজার ঘর। আর এসব প্রতিটি কলোনীতে দেওয়া হয়েছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। শ্রমিকদের রান্না বান্নার সুবিধার জন্য স্থানীয় কলোনীর মালিকরা এসব অবৈধ সংযোগ প্রদান করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায়। বিনিময়ে প্রতিটি সংযোগ প্রদানের জন্য দালালরা নিয়েছে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। আর কলোনীর মালিকরাও বেশী টাকায় ঘর ভাড়া দিতে পারছেন গ্যাস সংযোগ থাকার কারণে।
গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার শিশির চালা, শ্রীপুর পৌর এলাকার বৈরাগীরচালা ও বেতজুড়ি এলাকায় অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করতে গিয়ে তিতাসের কর্মকর্তারা সন্ধান পেয়েছেন এসব কলোনীতে ঝুঁকিপূর্ণ হাজার হাজার সংযোগ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় সহ্রাধিক অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ওই এলাকার ২টি স্পটে।
তিতাস গ্যাস গাজীপুর আঞ্চলিক অফিসের উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. মোস্তফা মাহবুব জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকালে শ্রীপুর পৌরসভার গরগরিয়া নতুন বাজার ও শিশিরচালা এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকার অবৈধ গ্যাস সংযোগ অকার্যকর করা হয় এবং ১০০০ বাড়ির ২৬০০ চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এছাড়া আড়াই কিলোমিটার এলাকার পাইপ লাইন অপসারন করা হয়।
তিতাসের কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় উচ্চ চাপের শিল্প লাইন থেকে কোন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখেই এসব লাইন সংযোগ দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোন সময় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এতে ব্যাপক জান মালের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এসব কারণে অবৈধ সংযোগ যত দ্রুত সম্ভব অপসারণ করা জরুরী। এ কারণেই তিতাস কর্তৃপক্ষ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছেন এবং অবৈধ সংযোগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা এবং অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রদান করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ডিগনিটি মোড়ের মোতালেব প্রধানের কলোনী, রুকন হাজীর মালিকানাধীন কলোনীর অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এসময় নাসির উদ্দিন মডেল স্কুলের মালিক নাসির উদ্দিনের বাসা ও কলোনীতে শতাধিক সংযোগ ও স্টার বার্ণার পাওয়া যায় ও তা বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে অভিযানের খবর পেয়ে বাসা ও কলোনীর মালিকরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। তিতাস কর্মকর্তারা আরো জানান, এসব এলাকায় এর আগেও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, কিন্ত কিছুদিন পর আবারো তারা অবৈধ সংযোগ প্রদান করে গ্যাস ব্যবহার শুরু করে।
অভিযান পরিচালনার সময় তিতাস অফিসের উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. মোস্তফা মাহবুব, প্রকৌশলী সৈয়দ আবু সুফিয়ান, প্রকৌশলী মির্জা শাহনেওয়াজ লতিফ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাবিনুর রহমান, আনোয়ার হোসেন ও কায়সারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এফএ/এইচএস
