দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টায় এ উপজেলার তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আজ কুড়িগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী জেলা লালমনির হাটে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। যা সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। চলমান শৈত্যপ্রবাহ আগামী ২৫ জানুয়ারী পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।
ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, জেলার ওপর দিয়ে মাঝারী ধরনের শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, দুই দিন থেকে ঘন কুয়াশা রেশ থাকছে দুপুর পর্যন্ত। শেষ রাত থেকে বৃষ্টির মতো শিশির ঝড়তে থাকে।
ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঠান্ডায় চরম বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষসহ পশুপাখি। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বিশেষ কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না অনেকেই।
শীতের দাপটে হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট ফাঁকা থাকায় স্তব্ধ হয়ে গেছে গোটা অঞ্চল। এতে ব্যাহত হয়ে পড়ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ।
গরম কাপড়ের অভাবে বিশেষ করে চরাঞ্চলে বসবাসকারী ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর দুর্ভোগ বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। সেই সঙ্গে ঠান্ডার দাপটে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শির্ক্ষথীদের উপস্থিতি কিছুটা কমেছে বলে জানা গেছে।
তীব্র শীতের কারণে পিছিয়ে গেছে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের চাষাবাদ।
কৃষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ঘন কুয়াশা এবং শৈত্যপ্রবাহের কারণে বীজতলার চারার বৃদ্ধি ঠিকমতো না হওয়া বোরো আবাদ শুরুর জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ শাখা সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত জেলার ৯ উপজেলার শীতার্তদের মাঝে ৬১ হাজার ৫শ ১৪টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।