আখেরি মোনাজাতে দুই হাত তুলে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফ, দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত, মুসলিম উম্মাহর শান্তি-ঐক্য, হেদায়েত, হেফাজত, রহমত, মাগফিরাত, নাজাত, দেশ ও বিশ্ব মানবতার কল্যাণ কামনা করেন মুসল্লিরা।
বিশ্ব ইজতেমায় গভীর আবেগপূর্ণ আখেরি মোনাজাতে গোটা দুনিয়ায় পথভ্রষ্ট মুসলমানের সঠিক পথের দিশা এবং তাবলীগের কাজে সবাইকে নিয়োজিত হওয়ার তওফিক কামনা করে মহান আল্লাহ রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত প্রার্থনা করা হয়। ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণ কামনায় দেশ বিদেশের লাখো মুসলিম স্রষ্টার শাহি দরবারে কান্নাকাটি করেন, চোখের অশ্রু ঝরান। মহামহিম ও দয়াময় আল্লাহ’র সন্তুষ্টি লাভে আকুতি ব্যক্ত করেন ধনী-গরিব, নেতা-কর্মী, শ্রমিক-মালিকসহ সব পেশার বিভিন্ন বয়সের সর্বস্তরের লাখো মুসল্লি। কাঙ্খিত আবেগঘন অযুত কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে রাহমানুর রাহিম আল্লাহ’র মহত্ম ও শ্রেষ্ঠত্ব।
অশ্রু বিসর্জন আর আমিন-আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয় পুরো এলাকা। মূল ময়দান ছাড়িয়ে জনস্রোত নামে আশপাশের বিশাল এলাকাজুড়ে। মোনাজাত শেষে গন্তব্যে ফিরতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা। পরিবহনে চড়তে না পেরে পায়ে হেঁটেই রওয়ানা দিয়েছেন অনেকে।
দ্বিতীয় ও শেষ পর্বের ইজতেমায় অংশ নেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা।
আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীদের সুবিধার্থে সকাল থেকে ১৬টি বিশেষ ট্রেন চলাচল করে। সেই সঙ্গে সব আন্তঃনগর ট্রেন টঙ্গীতে যাত্রা বিরতি করে। এছাড়া বিআরটিসির শতাধিক বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী ও আশপাশ এলাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। এ বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয় ১০ জানুয়ারি। আর ১২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে মাওলানা জুবায়ের অনুসারিদের প্রথম পর্ব শেষ হয়। প্রথম পর্বে ৬৪টি জেলার মুসল্লিরা অংশ নেন। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমাতেও দিল্লির মাওলানা সা’দ অনুসারী ৬৪ জেলার মুসল্লিরা অংশ নেন।
এদিকে, মোনাজাত উপলক্ষে ভোর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা, ঢাকা-সিলেট সড়কের মীরের বাজার থেকে টঙ্গী ও আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়কের আবদুল্লাহপুর থেকে বাইপাস সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
-এমএ