অবশেষে অত্যাধুনিকমানের এ্যাম্বুলেন্স পেল রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
Published : Sunday, 19 January, 2020 at 11:06 AM Count : 454
অবশেষে অত্যাধুনিকমানের একটি নতুন এ্যাম্বুলেন্স পেল নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সম্প্রতি ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ অপর ৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধানদের হাতে নতুন এ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, ৮০'র দশকে রাণীনগর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের দোরগোঁড়ায় মানসম্মত চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে উপজেলা সদরের অনুকূলে স্থাপন করা হয় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। প্রথম থেকেই হাসপাতালটি ছিল নানা সমস্যায় জর্জড়িত। এরপর ২০১২ সালে স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রচেষ্টায় তা ৫০ শয্যার একটি আধুনিকমানের হাসপাতালে উন্নীত করা হয়। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে এখনও কর্তৃপক্ষ ৫০ শয্যা হিসেবে হাসপাতালটি চালু করতে পারেনি। গত বছর পর্যন্ত এই হাসপাতালে ছিলো মাত্র ৩ জন ডাক্তার। কিন্তু চলতি মাসে নতুন করে হাসপাতালে ৯ জন ডাক্তার যোগদান করায় বৃদ্ধি পেয়েছে চিকিৎসা সেবার মান। আর কোন রোগীকে হাসপাতালে এসে ডাক্তারের অভাবে চিকিৎসা না নিয়ে ফিরে যেতে হয় না। বর্তমানে হাসপাতালে আগের চেয়ে এখন দ্বিগুণ সংখ্যক রোগীরা মানসম্মত চিকিৎসা ও ঔষুধ পাচ্ছেন।
এছাড়াও, হাসপাতালে ছিল না আধুনিকমানের কোন এ্যাম্বুলেন্স। শুরু থেকেই যে দুটি নিম্নমানের এ্যাম্বুলেন্স ছিল সেগুলো পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বছরের পর বছর। বেশ কয়েক বছর আগে যে একটি লক্করঝক্কর এ্যাম্বুলেন্স দেয়া হয়। তাতে কোন রোগী চলাচল করলে সেই রোগী আরও বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়তো। অবশেষে সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার অপারেশনাল প্ল্যানের আওতায় রাণীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অত্যাধুনিকমানের একটি এ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর করা হয়েছে।
চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আসাদুল ইসলাম, ডিজি প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কে এইচ এম ইফতেখারুল ইসলাম খাঁন (অংকুর) বলেন, অনেক চেষ্টার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় হাসপাতালটি একটি অত্যাধুনিকমানের এ্যাম্বুলেন্স পেল। বর্তমান সরকারের আমলে দীর্ঘ সময় পর এই হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স সমস্যাটি সমাধান হলো। এখন কোন জরুরী রোগীকে বেশি টাকায় বাইরে থেকে এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে হবে না। বর্তমানে হাসপাতালে যে দুটি এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে সেগুলো দিয়ে যেকোন জরুরী রোগীকে দেশের যেকোন বড় হাসপাতালে দ্রুত সময়ে রেফার্ড করা সম্ভব হবে। এতে করে সরকারি হাসপাতালের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। বৃদ্ধি পাবে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মানও।
-এমএ