For English Version
শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
হোম

ঝুমার পাশে কেউ নেই

Published : Wednesday, 15 January, 2020 at 8:28 PM Count : 459

ঝুমা

ঝুমা

অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের একমাত্র কন্যা ঝুমা (৬)। নিজেদের কোন জমি নেই, ঠাঁই মিলেছে সরকারি জমির উপর কুড়ে ঘরে। ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে ঝুমাকে রেখে মা মারা গেছে ৩ বছর আগে। এর মধ্যে এক ছেলে আবার প্রতিবন্ধী। বাবাও একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। মায়ের শূন্যতায় পরিবারের একমাত্র এই মেয়ে শিশুর কাঁধে পড়েছিল সংসারের ৫ সদস্যের রান্নার দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গুরুতর আহত হয় ঝুমা ১৫ দিন আগে। কিন্তু চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়ে উঠেনি আজো এই শিশুটির। দিনদিন ক্ষতস্থানগুলো দগ্ধ ঘাঁয়ে পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে, ধরেছে পঁচনও।  শিশুটির আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীদের মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলেও সমাজের যেন কারো দায়িত্ব নেই।

গাজীপুরের শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলি গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আব্দুল আউয়ালের মেয়ে ঝুমা। 

ঝুমার স্বজনরা জানায়, মায়ের শূণ্যতায় গোটা পরিবারের জন্য রান্না করতো ঝুমা। এই শিশুকেই রান্না করতে হতো। এতে মাঝে মধ্যে তার সাহায্যকারী হিসেবে থাকতো তার বাবা। গত ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাবার সঙ্গে রান্না করার সময় অসাবধানতাবশত শরীরে আগুন ধরে যায়। এতে ডান পা কোমর থেকে ঝলসে যায়। স্বজনরা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন। তবে অর্থের সংস্থান না হওয়ায় তারা ঢাকায় না গিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।

ঝুমার বাবা আব্দুল আউয়ালের ভাষ্য, চিকিৎসকরা তার মেয়েকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও তাদের কাছে ঢাকা যাওয়া বা চিকিৎসার আনুসাঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের মত কোন টাকা নেই। তাই ঝুমাকে নিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এখন প্রতিদিন পোড়া জায়গা অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। অর্থের যোগানের ব্যবস্থা করতে না পারায় বাড়িতে রেখেও চিকিৎসা দিতে পারছি না। চোখের সামনেই আমার মেয়ের কষ্ট ও যন্ত্রণা দেখতে হচ্ছে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মইনুল হক খান জানান, এই শিশুটি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা চিকিৎসা না করে শিশুটির বাড়িতে নিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন শিশুটি চিকিৎসা না পাওয়ায় তার যন্ত্রণা ও ঘাঁ থেকে পঁচনের অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। জরুরী ভিক্তিতে তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। অন্যত্থায় পা হারাতে পারে শিশুটি।

তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার জানান, অর্থের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে না পারা দুঃখ জনক বিষয়। কেউ তাকে এখনও বিষয়টি অবহিত করেনি। তবে তিনি জরুরী ভিক্তিতে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।

এইচএস

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,   [ABOUT US]     [CONTACT US]   [AD RATE]   Developed & Maintenance by i2soft