তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত
Published : Tuesday, 14 January, 2020 at 12:53 PM Count : 375
পঞ্চগড়ে শীতের দাপট যেন বেড়েই চলেছে। প্রায় দিনই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগের দিন সোমবারও ছিল একই তাপমাত্রা। রোববার ছিল ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে দিনের তুলনায় রাতে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
উত্তরের হিমালয় থেকে আসা হিমেল বাতাস ও কুয়াশায় ঢাকা গোটা পঞ্চগড় জেলা। সকাল সকাল সুর্যের আলোর দেখা পাওয়ায় মানুষের মনে স্বস্তি মিললেও দিনের তাপমাত্রা খুব একটা বাড়েনি। ফলে কনকনে শীতের অনুভূতি কমেনি। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে পরদিন সকাল পর্যন্ত চলে শীতের দাপট। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে পৌঁষের শীত। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ দুর্ভোগ বেড়েছে। অসহনীয় এই অব্যাহত শীতে শিশু ও বয়স্ক মানুষ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে।
হাসপাতালগুলোর বর্হিবিভাগে রোগীদের ভীড় লক্ষ্য করা গেলেও ভর্তির সংখ্যা কম। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে মাত্র ১০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
শীতজনিত রোগ থেকে রক্ষায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া, ঠান্ডা এড়িয়ে চলা, গরম কাপড় পরিধান ও টাটকা খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন।
এদিকে, তীব্র শীতে কিছু কিছু এলাকায় বোরোর বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। বীজতলা পলিথিনে ঢেকে দিতে পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল হোসেন।
জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলায় এ পর্যন্ত ৪৫ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। সরকারি, বেসরকারি পর্যায়ে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
-এসআইএস/এমএ