২০১৯ সালে গড়ে প্রতিমাসে ৮৪ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সে হিসেবে গত এক বছরে ১ হাজার ৩৮৩ শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। ১৫টি জাতীয় দৈনিক পর্যালোচনা করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
সার্বিক নির্যাতন কমলেও শিশুদের যৌন নির্যাতন আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রকৃত অপরাধের সংখ্যা এর চেয়েও বেশি বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। তারা জানিয়েছে, ২০১৯ সালে ৪ হাজার ৩৮১ শিশু নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৮৮টি শিশুর অপমৃত্যু এবং ১ হাজার ৩৮৩ শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শিশু নির্যাতন ও সহিংসতা কমলেও যৌন নির্যাতনের হার বেড়েছে ৭০.৩৪ শতাংশ।
প্রতিবেদনে শিশু নির্যাতনকে ৬টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো, অপমৃত্যু, যৌন নির্যাতন, অপহরণ, নির্যাতন ও সহিংসতা, আঘাতে মৃত্যু ও বাল্যবিবাহ।
২০১৫-২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ১৩৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গড়ে প্রতিমাসে ৫২টির বেশি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এসব ঘটনায় হওয়া মামলার মধ্যে গত ৫ বছরে মাত্র ১৬৪ মামলার রায় হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ ঢাকায়, ১১৬ শিশু।
২০১৯ সালে শিশু হত্যা বেড়েছে ৭.১৮ শতাংশ। গড়ে প্রতিমাসে ৩৭ শিশু হত্যার ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তুচ্ছ ঘটনা, পারিবারিক সহিংসতা, দাম্পত্য কলহ ও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে শিশুর প্রাণ গেছে। গত ৫ বছরের মধ্যে ২০১৯ সালে শিশু হত্যার ঘটনা ছিল সবচেয়ে বেশি। ২০১৯ সালে ৪৪৮ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। যেখানে ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ৪১৮।
আরইউ