কিডনিতে পাথর বোঝার উপায় |
![]() কিডনিতে যে সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে, তা হলো পাথর জমা। কিডনিতে পাথর আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যেভাবে বুঝবেন আপনার কিডনিতে পাথর জমেছে কি না। লক্ষণ ১. প্রসাবের বর্ণ লাল হলে। ২. সারাক্ষণ বমি বমি ভাব বা বমি হলে। ৩. কোমরের পেছন দিকে তীব্র ব্যথা হলে। যদিও এই ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তবে ব্যথা বৃদ্ধি পেলে তা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিডনিতে পাথর জমা বা তৈরির প্রকৃত কারণ এখনও সঠিকভাবে চিহ্নিত হয়নি। তবে কিছু বিষয়কে কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। যেমন- ১. দেহে পর্যাপ্ত পানির অভাব অর্থাৎ পানি কম খেলে। ২. বার বার কিডনিতে সংক্রমণ হওয়া। সংক্রমণ হলে তার জন্য যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা। ৩. মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে স্নেহ জাতীয় খাবার গ্রহণ। যেমন- পনির, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার। ৪. শরীরে ক্যালসিয়ামের আধিক্য দেখা দিলে। আপনার কিডনি সুস্থ, যা করবেন- ১. কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি এড়াতে চাইলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পানি গ্রহণও কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ২. দীর্ঘক্ষণ প্রসাব চেপে রাখা একেবারেই অনুচিত। বেগ এলেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়াটাই উত্তম। ৩. তবে বার বার প্রসাবের জন্য শৌচাগারে যাওয়াও একটি বড় সমস্যা। এমন অভ্যাস হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত এবং কিডনিতে সংক্রমণ ঘটেছে কি না তা পরীক্ষা করা উচিত। ৪. খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'সি' যুক্ত খাবার। আমলকী, লেবুর জুস প্রতিদিনই খাদ্য তালিকায় রাখলে কিডনি সমস্যা এড়ানো যাবে। ৫. অতিরিক্ত মাত্রায় দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া যাবে না। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট। -এমএ |