For English Version
বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
হোম

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা

জামিন পাননি খালেদা জিয়া

Published : Thursday, 12 December, 2019 at 1:45 PM Count : 833

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বেলা ১টা ২ মিনিটে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আমাদের প্রত্যেকের আলাদা মতামত আছে। এসে আদেশ দেব।'

বেলা ১টা ১৬ মিনিটে আদালত বলেন, 'এটা কিন্তু আমাদের সর্বসম্মত আদেশ। জামিন আবেদন খারিজ। খালেদা জিয়া সম্মতি দিলে তার বায়োলজিক্যাল চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে মেডিকেল বোর্ড।'
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও খন্দকার মাহবুব হোসেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

গত ২৮ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট চান। যা ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আপিল বিভাগে দাখিল করতে বলা হয়। একইসঙ্গে ৫ ডিসেম্বর আদেশের জন্য দিন রাখা হয়। তবে ওইদিন প্রতিবেদন পাঠানো হয়নি। এরপর আদালত কোন ব্যর্থতা ছাড়াই ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়ে শুনানি ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল প্রতিবেদনটি আদালতে পাঠানো হয়।
 
বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, 'খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের সমন্বয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। তারপর সেটি সিলগালা করে আদালতে পাঠানো হয়।'

গত ৫ ডিসেম্বর আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, 'বিএসএমএমইউ’র ভিসি জানিয়েছেন- কিছু পরীক্ষা হয়েছে, কিছু বাকি আছে। তাই প্রতিবেদন দিতে সময় দরকার।'

এরপর আদালত কোন ব্যর্থতা ছাড়াই ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়ে শুনানি ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন।
 
এ সময় খালেদার জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন প্রতিবেদন রোববার বা সোমবার (৮ ও ৯ ডিসেম্বর) দিতে নির্দেশনার আবেদন জানান। কিন্তু তারিখ পরিবর্তন করেননি আদালত। 

এর পর পরই বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আদালত কক্ষে হইচই শুরু করেন। একপর্যায়ে আদালত এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেন। কিন্তু এজলাসে অবস্থান করে স্লোগান দিতে থাকেন আইনজীবীরা।
 
বিরতির (বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা) পর ফের আদালত বসলে জয়নুল আবেদীন শুনানি করতে চান। কিন্তু আদালত তাতে সায় দেননি। এর মধ্যে হট্টগোলের কারণে অন্য মামলার শুনানিও ব্যাহত হয়। এসময় বিএনপিপন্থি ২/১ জন সিনিয়র আইনজীবী আদালত কক্ষ থেকে বের হতে চাইলে জুনিয়রদের বাধার মুখে পড়েন।

ওইদিন আপিল বিভাগের বিচারকাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়সীমা দুপুর সোয়া ১টার দিকে এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বেঞ্চ। পরে আইনজীবীরাও বের হয়ে যান।
 
এর আগে ২৫ নভেম্বর জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আপিল বেঞ্চ ২৮ নভেম্বর দিন ঠিক করেন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেয়ে বন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া। আপিলের পর হাইকোর্টে যা বেড়ে ১০ বছর হয়।
 
পরে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর খালাস চেয়ে আপিল বিভাগে খালেদা জিয়া জামিন আবেদন করেন। তবে সেই আবেদন এখনো আদালতে উপস্থাপন করেননি তার আইনজীবীরা।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।
 
গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এর বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। পরে গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দ করার ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন।
 
এরপর ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। পরে ১১ সেপ্টেম্বর ফের জামিন আবেদন ফেরত দেন বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
 
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
 
তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হলে দুদকের পক্ষে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।

-এনএইচ/এমএ

আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তা
পেছাল খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি
খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছেন আপিল বিভাগ
খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি বৃহস্পতিবার

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,   [ABOUT US]     [CONTACT US]   [AD RATE]   Developed & Maintenance by i2soft