পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে কুকুর আতঙ্ক |
![]() পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার বদলগাছী উপজেলা সদর থেকে উত্তরে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সড়ক যোগাযোগ ভালো হওয়ায় ভোগান্তী কমেছে দর্শণার্থীদের। ফলে প্রতিদিন বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা। দূর দূরান্ত থেকে এখানে সহজেই আসতে পারছেন দর্শণার্থীরা। দু’একজন ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বেশির ভাগই বাস ও মাইক্রোবাস যোগে আসেন দর্শণার্থীরা। যারা দু’একজন করে আসেন তারা পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের গেটের পাশের হোটেলে বা পাহাড়পুর বাজারে খাবার খেয়ে থাকেন। কিন্তু যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বাস ও মাইক্রোবাস নিয়ে আসেন তারা বেশির ভাগই পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ভেতরের চত্বরে নিজেরা রান্না করে থাকেন। রান্না শেষে খাবারের সময় এসব দর্শণার্থীরা কুকুর আতঙ্কে থাকেন। সেখানে প্রায় ৪০-৫০টি কুকুর রয়েছে। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের বাউন্ডারি প্রাচীর একটু নীচু। অপরদিকে স্থানীয়রা গবাদি পশুর ঘাস সংগ্রহের জন্য গ্রীল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। যার কারণে প্রাচীর টপকে ও ভাঙা গ্রীলের ভেতর দিয়ে কুকুর প্রবেশ করতে পারে। তাই দর্শণার্থীরা স্বচ্ছন্দে বৌদ্ধ বিহারে ঘুরাঘুরি ও খাবারের সময় কুকুর আতঙ্কে থাকেন। স্ব-পরিবারে বগুড়া থেকে মাইক্রোবাসযোগে এখানে বেড়াতে এসেছিলেন রফিকুল। তিনি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার চত্বরে পরিবারের ৮ সদস্য মিলে খাবার খাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, বাসা থেকে খাবার রান্না করে নিয়ে এসেছি। আমরা খাবার শুরু করার সময় ১৫-২০টি কুকুর এসে হাজির। তাড়ানোর পর আবারও সেগুলো আসছে। ভয় নিয়ে তো খাবার খাওয়া সম্ভব না। একজন কুকুর তাড়ানোর কাজ করেছে। বাকিরা নিরাপদে খেতে পেরেছি। পাহাড়পুর জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান আবু সাইদ ইনাম তানভিরুল বলেন, হাইকোর্টের রীটের কারণে কুকুর আমরা মারতে পারিনা। তারপরও পর্যটকদের সুবিধার জন্য আমাদের নিরাপত্তা কর্মীরা কুকুর তাড়িয়ে দেন। তবে গত বছর থেকে চলতি বছর কুকুরের সংখ্যা কম। তিনি আরও বলেন, আমাদের বাউন্ডারি প্রাচীর নিচু হওয়ায় ও পর্যটকরা গেট দিয়ে প্রবেশের সময় কুকুর ভেতরে ঢুকে পড়ে। এছাড়া স্থানীয় কিছু মানুষ আছে যারা গ্রীল ভেঙে ভেতরে ঘাস কাটার জন্য প্রবেশ করে। গত এক বছরে চারবার গ্রীল মেরামত করা হয়েছে। -এমএ |