নোয়াখালী মুক্ত দিবসে র্যালী-আলোচনা সভা
Published : Saturday, 7 December, 2019 at 7:48 PM Count : 375
আজ ৭ই ডিসেম্বর নোয়াখালী মুক্ত দিবস, এই উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে প্রধান সড়কে র্যালি শেষে জেলা শহর শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে বিজয় মঞ্চে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুদ্দীন জেহান, বিশেষ অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা, মুক্তিযোদ্ধা মমতাজুল করিম বাচ্চু, মোশারফ হোসেনসহ প্রমূখ।
দিবসটি উপলক্ষে বিকালে নোয়াখালী শিশু নাট্যমের উদ্যোগে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জলন, মুক্ত মঞ্চে নৃত্য, গান, মঞ্চ নাটক পরিবেশন করে জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের পর মুক্তিকামী ছাত্রজনতা পুলিশ ও ইপিআর ফেরৎ জওয়ানদের সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত নোয়াখালী ছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে। পরবর্তীতে পাকবাহিনীর হামলার মুখে মুক্তিযোদ্ধারা টিকতে না পেরে পিছু হটলে নোয়াখালীর নিয়ন্ত্রণ নেয় পাকিস্তানীরা। নোয়াখালী পিটিআই এবং বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শক্তিশালী ঘাটি গড়ে তোলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। তাদের সাথে দেশীয় রাজাকাররা মিলে শুরু করে লুটপাট। এরেই মধ্যে নোয়াখালীর অসংখ্য ছাত্রজনতা প্রশিক্ষণ নিয়ে ভারত থেকে এসে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়।
কোম্পানীগঞ্জের বামনীর যুদ্ধ, বেগমগঞ্জের বগাদিয়াসহ অসংখ্য যুদ্ধ হয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে। ওই সময়ে শহীদ হন শত শত মুক্তিযোদ্ধা। শুধুমাত্র সোনাপুরের শ্রীপুরে তারা হত্যা করেছিলো শতাধিক ব্যক্তিকে। এছাড়া বেগমগঞ্জের চৌরাস্তায়, একই উপজেলার গোপালপুর ও সেনবাগেও গণহত্যায় লিপ্ত ছিল পাকিস্থানিরা। এখনও এসব স্থানে গণকবরের দেখা মেলে।
ডিসেম্বরের শুরুতেই নোয়াখালীর প্রত্যন্ত প্রান্তরে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্থানিদের পিছু হটিয়ে দেয়। ৬ ডিসেম্বর দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা বেগমগঞ্জ মুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা। আর সাত ডিসেম্বর মুক্ত হয় গোটা নোয়াখালী জেলা।
এমআরএম/এইচএস