জমি থেকে পেঁয়াজ চুরি রাত জেগে পাহারা
Published : Monday, 2 December, 2019 at 10:00 PM Count : 398
সিরাজগঞ্জের বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম জাতের (গাছ পেঁয়াজ)। কিন্তু সে পেঁয়াজ নিয়ে নতুন করে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। জমি থেকে পেঁয়াজ চুরির যাওয়ায় রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার কাজিপুর, সদর, তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও উল্লাপাড়া উপজেলাসহ চর অঞ্চলে কমবেশী পেঁয়াজ আবাদ হয়ে হয়ে থাকে।
জেলা এবছর এক হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক পরিমান মুড়িজাতের (আগামজাত) পেঁয়াজ আবাদ হচ্ছে এবং এই জাতের পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৫৫১ টন। এর মধ্যে প্রায় চার হাজার ২২০ টন আগাম জাতের পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানায় বিগত বছর গুলোতে পেঁয়াজ আবাদ করে তেমন লাভবান না হলেও এ বছর প্রতি কেজি গাছ পেঁয়াজ ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় লাভের মুখ দেখতে শুরু করেন কৃষক। কিন্তু নতুন করে উপদ্রুপ শুরু হয়েছে পেঁয়াজ চুরির। রাতের আঁধারে চুরি করে নেয়া হচ্ছে গাছ সমেত পেঁয়াজ।
তাড়াশ উপজেলার নাদোসৈয়দপুর, হেমনগর, চরহামকুড়িয়া, কাঁটাবাড়ি পেঁয়াজ চুরি ঠেকাতে প্রতিটা জমিতে পাহারা বসানো হয়েছে। রাতের বেলায় আলো জ্বেলে পাহারা দেয়া হচ্ছে। তাড়াশ উপজেলার বামুনগাড়া গ্রামের কৃষক তফের আলী, নূরুল ইসলাম ও তাদের চাষকৃত জমির পেঁয়াজ কয়েক রাতে বেশ কয়েকবার চুরি হয়েছে। চুরি ঠেকাতে আমরা রাত জেগে জমি পাহারা দিচ্ছি।
একই উপজেলার ধারাবারিষা গ্রামের কফিল উদ্দিন জানান, বিগত বছর গুলোতে পেঁয়াজ আবাদ করে আমরা তেমন লাভবান হতে পারিনি। এ বছর পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে নতুন প্রতি কেজি গাছ পেঁয়াজ ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় লাভের মুখ দেখতে শুরু করেন কৃষক। কিন্তু নতুন করে উপদ্রুপ শুরু হয়েছে পেঁয়াজ চুরির। রাতের আঁধারে চুরি করে নেয়া হচ্ছে গাছ সমেত পেঁয়াজ। এখন জমির পেঁয়াজ রক্ষায় পাহারাদিতে হচ্ছে।
নাদোসৈয়দপুর গ্রামের শারমিন খাতুন জানান, তার বাড়ির সঙ্গে ভিটায় চার শতক জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছেন ফলনও ভাল হয়েছে। কিন্ত জমির পেঁয়াজ চুরি যাচ্ছে একটু চোখের আড়াল হলেই জমি থেকে চুরি হচ্ছে পেঁয়াজ। জমির পেঁয়াজ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তারা।
এবি/এইচএস