মুক্তিযুদ্ধ ছিলো বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ লড়াইয়ের ফসল: মোস্তাফা জব্বার
Published : Monday, 2 December, 2019 at 4:54 PM Count : 411
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ ছিলো বাংলা ভাষা ভিত্তিক জনগোষ্ঠী, বাঙালি সংস্কৃতি কেন্দ্রিক উন্নত জীবনধারী একটি দেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদীর্ঘ লড়াইয়ের ফসল। স্বাধীকার প্রতিষ্ঠার জন্য এখনো পৃথিবীর বহুদেশে যুদ্ধ হচ্ছে। কিন্তু তারা সফল হতে পারছে না। কারণ তাদের একজন বঙ্গবন্ধু নাই। বঙ্গবন্ধু তার সুদীর্ঘ লড়াইয়ের মধ্যে সমগ্র দেশের মানুষকে একত্রিত করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেছেন।
ঢাকায় ন্যাশনাল ফ্রিডম ফাইটারস ফাউন্ডেশন আয়োজিত শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু ২০২০ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মূল শক্তি ছিলো এ দেশের মানুষ। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ঘৃণ্য ষঢ়যন্ত্র করা হয়েছিল। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ এই ২১ বছর বাংলাদেশকে পশ্চাৎপদতার দিকে ধাবিত করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ছিলেন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন একজন মানুষ। আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে টেলিযোগাযোগ সম্প্রসারণে ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেনবুনিয়ায় তিনি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের সদস্যপদ অর্জন করে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নে বিশ্বের বিস্ময়। গত দশ বছরে দেশে মাথা পিছু আয় ৫৫৬ ডলার থেকে ১৯০৯ ডলারে উন্নীত হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ কোথায় যাবে তা কল্পনাও করতে পারি না।
তিনি বলেন, গড় আয়ু, মাতৃ মৃত্যুহার, শিশু মৃত্যুহারসহ অগ্রগতির প্রতিটি সূচকে গত ১১ বছরের অগ্রগতিতে বাংলাদেশ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ বিশ্বে আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সাল স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। এই দুটি বছর জাতির উৎসবের বছর উদযাপনের বছর। এই সময়ের জন্য তিনি যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উপযোগী হিসেবে নিজেদের তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এড. মৃনাল কান্তি দাস এমপি, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন্স স্যাটেলাইট কোম্পানি এর চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ ন্যাশনাল ফ্রিডম ফাইটারস ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. এসএম জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু ২০২০ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সমন্বয়ে র্যালি উদ্বোধন করেন। বিজয় র্যালিটি প্রেসক্লাব থেকে শাহবাগে শেষ হয়। মন্ত্রী র্যালির নেতৃত্ব দেন।
এইচএস