কীটনাশক ছাড়াই তৈরি হচ্ছে তালতলীর শুটকি |
![]() শুটকির চাহিদা বছরব্যাপি থাকলেও এখানে নেই কোন স্থায়ী শুটকি পল্লী। সরকারি উদ্যোগে স্থায়ী ভাবে শুটকি পল্লীর তৈরি করে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করলে এখানকার শুটকি উন্নত বিশ্বেও রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। আশারচর, সোনাকাটা, জয়ালভাঙ্গা চরের, শুঁটকি পল্লীতে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ৬ মাস ধরে চলে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজ। মৌসুমের শুরুতেই একেকটি স্পটে ব্যবসায়ীরা ছোট্ট ঝুপড়িতে শুটকি তৈরি করেন। ঝুপড়ি সংলগ্ন মাছ শুকানোর বাঁশের মাচান বানানো, জাল, নৌকা কেনা এবং দাদন নিয়ে একেক জন ব্যবসায়ী অন্তত ১০ লক্ষ টাকার পুঁজিতে এ ব্যবসা শুরু করেন। সাধারণত লইট্টা, ফাহা, ফালিসা, চাবল, ছুরি, পোমা, চান্দাকাটা, চিংড়ি, লাক্ষ্মা, গোলপাতা, নোনা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের শুটকি করা হয় এই পল্লীগুলোতে। প্রায় ৫ শতাধিক ব্যবসায়ী বাস করেন এখানে। কেউ মাছ আহরণ শেষে ধোয়ার কাজ করছেন। কেউ বড় মাছ কাটছেন। লবণ মিশিয়ে মাচানের ওপরে বিছিয়ে শুকানোর কাজ চলছে। কেউবা শুকানো শুটকি বস্তায় ভরছেন। পরে তাদের চর সংলগ্ন বাড়িতে সংরক্ষণ করে দেশের বিভিন্ন বিভিন্ন মোকামে চালান করা হয় এসব শুটকি। ব্যবসায়ীরা জানান, শুটকিতে কোন ধরনের কীটনাশক ব্যবহৃত হয় না। প্রাকৃতিক ভাবে রোদে শুকিয়ে পরিচ্ছন্নতার মধ্য দিয়ে শুটকি তৈরী করা হয়। তারা আরও জানান, মোগো (আমাদের) যদি স্থায়ী ভাবে সরকারি শুটকি পল্লী ও বিক্রয়ের জন্য স্টল করে বাজার করে দেয়া হয় ও ব্যাংক থেকে সল্প সুদে পর্যাপ্ত ঋণের ব্যবস্থা করে তবে এ পেশা ধরে রাখা সম্ভব। নয়তো এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ৫শ পরিবার টিকে থাকতে পারবে না। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামীম রেজা জানান, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা উন্নয়ন প্রকল্প অথবা মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে তাদের জন্য আলাদা জায়গা করে বৈজ্ঞানিক ভাবে মানসম্মত উপায়ে শুটকি তৈরির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হবে। তালতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার জানান, শুটকি ব্যসায়ীদের নিজস্ব পল্লী এবং শুটকি বিক্রির নির্দিষ্ট বাজারের জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। -এমএইচ/এমএ |