গজারিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আহত ৫
Published : Saturday, 30 November, 2019 at 1:16 PM Count : 440
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন ভাই, বোনের পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের মনাইরকান্দি এলাকায় বেপারী বাড়ীর সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মৃত. সাত্তার বেপারীর স্ত্রী হাজেরা খাতুন(৫০), মো: জাকির হোসেনের স্ত্রী রুকসানা বেগম(২৮), মো: ফজলুল হকের স্ত্রী লাভলী বেগম(৩০), মৃত. আবুল কাশেম ছেলে ইয়াসিন মুন্সী(৬০), নাসির সরকারের স্ত্রী দিপালী আক্তার(১৯)।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সনের ১৪ অক্টোবর চরবাউশিয়া মৌজার ১নং খতিয়ানের ৯১০নং দাগের ২৮ শতাংশ নাল জমি বন্দোবস্ত দেয় রহিমা বেগমকে। তখন থেকেই ভোগদখল করে আসছে রহিমা বেগমের পরিবার।
রহিমা বেগমের বড় মেয়ে মেওয়া বেগম(৪৫) জানান, পূর্বে থেকেই তাদের পরিবার ২৮শতাংশ ব্যুরো জমি চাষাবাদ করে আসছিল। ১বছর পূর্বে মা রহিমা বেগম মারা যাওয়ার পর তার আপন মামা ইয়াসিন মুন্সী জমিটি তার দাবী করে চাষাবাদে বাঁধা দেয়। বাঁধা দেওয়ার কারণে এলাকায় একাধিকবার বিচার সালিশি হয়। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ঐ জমিতে ইরি ধানের বীজ রোপন করতে গেলে তার আপন মামা ইয়াসিন মুন্সীসহ একই এলাকার বাতেন বেপারীর ছেলে আবু কালাম, ইয়াসিন মুন্সী ছেলে মো: আলামিন, জামাল খাঁনসহ ১০/১২জন সন্ত্রাসীদের নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দা, লোহার রড, কাঠের ডাসা, বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। তাদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে মৃত. রহিমা বেগমের বড় মেয়ে মেওয়া বেগম বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এবিষয়ে ইয়াসিন মুন্সী জমিটি তার দাবী করে বলেন, প্রায় বিশ বছর আগে ঐ ২৮শতাংশ জমি বাবদ স্ট্যাম্পের মাধ্যমে তার বড় বোন মৃত. রহিমা বেগমকে ৫লাখ টাকা দেয়া হয়। তখন থেকেই জমির অর্ধেক (১৪শতাংশ) চাষাবাদ করতেন। বড় বোন রহিমা মারা যাওয়ার পর জমির ওয়ারিসগন বাঁধা প্রদান করেন। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ এলাকার লোকজন একাধিকবার বিচার সালিশি করেছেন এবং উপস্থিত সালিশিতে রহিমার ওয়ারিসগন জমিতে যাবেনা মর্মে লিখিত দিয়েছেন বলে জানান।
বিষটি নিয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর-রশিদ জানান, দুপক্ষ থেকেই দুইটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইউ/এসআর