খুব শীঘ্রই ভোলা-ঢাকা রুটে চালু হতে যাচ্ছে ক্যাটাম্যারান টাইপের চেয়ার সিস্টেম দ্রুতগতির জাহাজ সার্ভিস। এই রুটে জাহাজ চালানোর জন্য ইতিমধ্যে "গ্রীন লাইন ওয়াটার ওয়েজ" কোম্পানিকে অনুমোদন দিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। এ সার্ভিস চালু হলে খুব কম সময়ে ঢাকা পৌঁছানোর পাশাপাশি দিনের বেলায় নৌপথে রাজধানীতে চলাচলের সুযোগ পাবে ভোলাবাসী।
বৃহস্পতিবার ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ভোলা-ঢাকা নৌরুটে জাহাজ চালানোর জন্য গ্রীন লাইন ওয়াটার ওয়েজ বিআইডব্লিউটিসি'র কাছে অনুমতি চেয়েছিল। বুধবার মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এর অনুমোদন দেয়া হয়। পাশাপাশি ওই বৈঠকে ভোলার সঙ্গে সহজ ফেরি যোগাযোগের লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরের মতিরহাট পয়েন্ট ফেরীঘাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ মাসের মধ্যেই এ সার্ভিস দুটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, গ্রীন লাইন ওয়াটার ওয়েজের দ্রুতগামী জাহাজ সার্ভিসটি প্রতিদিন ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট এবং ঢাকা সদরঘাট থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় ছেড়ে যাবে। এতে করে দিনের বেলায় যাতায়াত করতে পারবে বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জেলার মানুষ। এ সার্ভিসের জন্য খুব শীগ্রই বিআইডব্লিউটিএ নতুন একটি টার্মিনাল স্থাপন করবে।
এদিকে, গ্রীন লাইনের দ্রুতগতির এই জাহাজ সার্ভিস শুরু হলে সময় অনেক কম লাগবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিটিএ'র উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, ভোলার খেয়াঘাট থেকে ঢাকার নৌপথের রুটে দুরত্ব ১৫৫ কিলোমিটার। সেখানে লঞ্চযোগে যেতে সময় লাগে ১১ ঘন্টা। কিন্তু গ্রীন লাইন জাহাজ সার্ভিস যাবে ইলিশা ঘাট থেকে, সেখানে ৩০ কিলোমিটার কমে গিয়ে দাঁড়াবে ১২৫ কিলোমিটারে। তাই লঞ্চ থেকে কমপক্ষে ৪/৫ ঘন্টা সময় কম লাগবে।
অন্যদিকে, ভোলা-লক্ষীপুর দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার। সেখানে মজু চৌধুরীর ঘাট থেকে মতিরহাট এলাকায় ফেরীঘাট স্থাপন করা হলে দূরত্ব কমে যাবে ১২ কিলোমিটার। এতে করে ফেরিতে সময় লাগবে এক ঘন্টায়।
রাজধানীর সঙ্গে ভোলার যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম নৌযান। প্রতিদিন জেলা সদরসহ সাত উপজেলা থেকে ১৪টি লঞ্চ চলাচল করছে। উভয় স্থান থেকে রাতেই এসব লঞ্চ চলাচল করে এবং ভোরে গন্তব্যে গিয়ে পৌঁছায়। নৌযানের ওপর নির্ভরশীল এ অঞ্চলের যাত্রীরা।
-এএম/এমএ