ভোলায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ, মামলা দায়ের
Published : Monday, 21 October, 2019 at 12:15 PM Count : 424
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার ঘটনার জেরে ভোলা বোরহানউদ্দিনে পুলিশ ও জনতার সংঘর্ষে সৃষ্ট হতাহতের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন।
সোমবার সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
এদিকে, এ ঘটনায় রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বোরহানউদ্দিন থানার এসআই আজিজুল হক বাদি হয়ে ৪/৫ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরো উপজেলায় পুলিশের পাশাপাশি, বিজিবি, কোষ্টগার্ডসহ কয়েক স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মোতায়েন রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), আমর্ড পুলিশ। কাউকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এদিকে, বেলা ১১টা থেকে প্রেস ক্লাব চত্বরে অবস্থান নিয়ে ‘সর্বদলীয় ইসলামী ঐক্য পরিষদ’র নেতারা বিক্ষোভ করছে। সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কাউসার বলেন, 'ফেসবুকে কটূক্তির ঘটনায় হিন্দু বিপ্লব চন্দ্র শুভ, মো. শাকিব, লিমনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাদের ভোলা কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।'
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি ম. এনামুল হক মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, 'মানুষ যাতে স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারে তাই কয়েক স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।'
উপজেলার কাচিয়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের হিন্দু যুবক বিপ্লব চন্দ্র শুভ শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ফেসবুকে আল্লাহ ও মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করে। এ ঘটনায় বিপ্লবের ফাঁসি দাবি করে মুসলমানরা ক্ষিপ্ত হয়ে রোববার বিক্ষোভ মিছিল করে। ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ থেকে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ দেড় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
-এনআর/এমএ