তথ্য আপার সহায়তায় সেবা পেলেন ৬৫০ নারী
Published : Sunday, 22 September, 2019 at 2:25 PM Count : 420
গ্রামীণ মহিলাদের জীবন ও জীবিকা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত করে যাচ্ছে তথ্য আপা। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা তথ্যকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্যসেবা কর্মকর্তা শাহীন আক্তার সোনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্দেশনায় তথ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) আওতায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় মহিলা সংস্থা।
এর ফলে গ্রামীণ মহিলাগণ সহজে বাড়িতে বসে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন, ব্যবসা, জেন্ডার এবং কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্যসেবা পাচ্ছেন। যা তাদের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। গ্রামীণ মহিলারা নিজ ঘরে বসেই তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার সুযোগ পাচ্ছেন। এই সেবা তাদের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে সাহায্য করছে।
সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের শিক্ষার্থী জোবেদা বেগম ও হোসনেয়ারা নুসরাত জানান, এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেছি। বিভিন্ন জায়গায় চাকরির চেষ্টা করছি। তথ্যকেন্দ্রে তথ্য আপার কাছে গিয়ে অনলাইনে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেছি।
একই উপজেলার চাঁদখালী গ্রামের দেবর কর্তৃক নির্যাতিত রাহিমা বেগম জানান, সম্প্রতি আমি বড় ধরনের সমস্যায় পড়ে তথ্য আপার সহযোগিতায় বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ পেয়েছি।
ভবাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চররুহিতা গ্রামের গৃহবধূ কুলছুমা বেগম জানান, সম্প্রতি আমার বিয়ে হয়েছে। স্বামী খোঁজ খবর না নেয়ায় এবং আমার শারীরিক সমস্যার বিষয়ে তথ্য আপাকে জানিয়ে ছিলাম। তিনি তাৎক্ষণিক আমাকে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেন। আমি তখন ঘরে বসে চিকিৎসা সেবা পেয়েছি।
সদর উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্যসেবা কর্মকর্তা শাহীন আক্তার সোনিয়া জানান, আমি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় গত বছরের ডিসেম্বরে যোগদান করি। যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৬৫০ জন গ্রামীণ মহিলাকে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করি। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৫টি উঠান বৈঠকের মাধ্যমে ২৫০ জন গ্রামীণ নারীকে বাল্যবিবাহের কুফল, যৌতুক নিরোধ আইন, পারিবারিক সহিংসতা এবং নারী নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত করি।
তিনি আরও জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সরকারি আইটি বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি ইত্যাদি বিষয়ে রিসোর্স পারসন হিসেবে এই কর্মসূচির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মুক্ত আলোচনা করে থাকি। এতে গ্রামীণ সমাজের অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত নারীরা লাভবান হচ্ছেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে এ ধরনের সেবা অব্যাহত থাকবে।
-আরআইকে/এমএ