বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'কেউ অধিকার দিয়ে যাবে না, আমাদের অধিকার আমাদেরকেই ছিনিয়ে আনতে হবে।'
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি’ উপলক্ষে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, 'জনগণকে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য তাদেরকেই দাঁড়াতে হবে। আর বেগম জিয়া গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তাই গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবার জন্য দাঁড়াতে হবে। সকলকে নিয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে। রাজপথে তার প্রতিবাদ করতে হবে। আমাদের অধিকার আমাদেরকেই ছিনিয়ে আনতে হবে। কেউ আমাদের অধিকার দিয়ে যাবে না।'
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুষের বিষয়ে তিনি বলেন, 'এখন ভাইস চ্যান্সেলর নাম চলে এসেছে। উনি না কি ইতিমধ্যে এক কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছেন। তাহলে শুধু মাত্র ছাত্র কেনো? ভাইস চ্যান্সেলরের কি হবে?'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও ডিন রাতের বেলায় ছাত্র ভর্তি করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, 'আজ চেষ্টা করেও দুর্নীতি আর থামিয়ে রাখা যাচ্ছে না। থলের বিড়ালের মতো দুর্নীতি বের হয়ে আসছে।'
পুলিশ কমিশনার নতুন যোগদান করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ভালো ভালো কথা বলেছেন। একটা কথা বলেছেন, যদি কোন ওসি কাজ না করে এবং সেবার বিনিময়ে অর্থ চান তাহলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা সেখানে গিয়ে বসবো।'
আসামের নাগরিকপঞ্জির বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আসামের মন্ত্রী বলেছেন, এখানে যারা আছে, সবাইকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আমরা ভারত সরকারকে বিশ্বাস করতে চাই। ধিক এই নতজানু পররাষ্ট্রনীতিকে, ধিক এই গণতান্ত্রিককে।'
রাজনীতিবিদরা এখন আর রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন না, রাষ্ট্র এখন রাজনীতিবিদদের পরিচালনা করছে বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, 'জনগণের সঙ্গে সরকারের কোন সম্পর্ক নেই। তারা জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিছিন্ন। এ কারণে নির্বাচনের আগের রাতে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হয়।'
আয়োজক সংগঠনের সহ সভাপতি মিজানুর রহমান খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্যে রাখেন, বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান প্রমূখ।
-আরইউ/এমএ