![]() |
ইউপি কার্যালয়ে বিচারপ্রার্থী নারীকে চেয়ারম্যানের নির্যাতন |
![]() রোববার উপজেলার চর কাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের চেয়ারম্যান হাজী সফি উল্যাহ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন নির্যাতনের শিকার সাবিনা ইয়াসমিন রিমি। তিনি জানান, গত আগস্ট মাসে জন্ম নিবন্ধনের কার্ড করতে চর কাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গেলে বোর্ড অফিসের তথ্য সেবা কর্মকর্তা রিয়াদ (নির্যাতনের শিকার রিমির স্বামী) তার ওপর হামলা চালায়। এ হামলার বিচারের দাবিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। রোববার সকালে ওই অভিযোগপত্রে হামলার সত্যতার পক্ষে স্বাক্ষর নিতে ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গেলে চেয়ারম্যান তার স্বামী রিয়াদের পক্ষ নিয়ে প্রথমে তাকে ও তার মাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। পরে মোটা একটি লাঠি দিয়ে তার চোখে আঘাত করে। এরপর চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে চৌকিদার আবদুর রব ও অজ্ঞাত এক যুবক ওই নারীকে বেধড়ক মারধর করে। রিমা আরও জানান, তার স্বামী রিয়াদ হোসেন চর কাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের তথ্য সেবা কেন্দ্রে চাকরি করে। পরিবারে অমতে রিয়াদের সঙ্গে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তার বিয়ে হয়। পরে রিয়াদ আমাকে তার বাড়িতে তুলে নিতে অস্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করি। ওই মামলা এখনো চলমান। পূর্ব শক্রতার জের ধরে তথ্য সেবা কর্মকর্তার পক্ষ নিয়ে চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আটকে রেখে আমাদের নির্যাতন করে। লাঠি দিয়ে আঘাত করার কথা স্বীকার করে চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী সফি উল্যাহ বলেন, আমরা জনপ্রতিনিধিরা যদি খারাপ মেয়েদের একটু থেডিং দিয়ে ঠিক করতে না পারি, তাহলে আমরা কিসের জনপ্রতিনিধি। তিনি আরও দাবি করেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি শাসন করতেই পারেন। কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। -এইচআইআর/এমএ |