রোববার বাংলাবান্ধা বিওপিতে এই সেমিনারের আয়োজন করে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। সেমিনারে বিজিবি সদস্য ছাড়াও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর, ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কাস্টমসের প্রতিনিধিসহ গণমাধ্যম কর্মীরা অংশ নেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিজিবির ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ শামছুল আরেফীন।
তিনি বলেন, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায় চোরাচালান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে প্রশিক্ষিত কুকুরের সহায়তা নেয়া হবে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এই উদ্যোগ নিয়েছে। কুকুরদের জন্য বাংলাবান্ধা বিওপিতে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঝাড়ুয়াপাড়া এলাকায় আধুনিক মান সম্পন্ন নতুন একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। এই ক্যাম্প বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এবং ইমিগ্রেশনকে সহায়তা করবে।
পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার আনিসুর রহমান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা ইছাহাক আলী, স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনের ওসি ইজারউদ্দীন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মামুন সোবহান, বেনাপোল আইসিপির সুবেদার আব্দুল ওহাব তালুকদার, নায়েব সুবেদার মো. আব্দুল মতিন মিনা অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন।
বক্তারা জানান, সীমান্তে অস্ত্র গোলাবারুদ, চোরাচালান রোধ, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী শিশু পাচার বন্ধসহ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বিদেশগামী ও আগতদের যাতায়াত সহজতর করাসহ বিজিবির সেবার মান আরও বৃদ্ধি করতে সমন্বিতভাবে কাজ করার উপর জোর দেন। বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, গাড়ী, বডি ও ব্যাগ স্কেনার স্থাপন ও প্রশিক্ষিত কুকুরের ব্যবহারসহ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিজিবির সেবা কার্যক্রম শিগগিরই চালু করা হবে বলেও বিজিবির পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়। এতে যাত্রীদের হয়রানি যেমন কমবে তেমনি অপরাধ ও চোরাচালানও রোধ করা সম্ভব হবে বলেও মনে করেন তারা। বন্দরের যে অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে তা দ্রুতই সমাধান করা হবে। পরে স্থলবন্দর সীমান্ত দিয়ে কিভাবে ব্যবহৃত জিনিসপত্রের সাথে চোরাচালান হয় তা সেমিনারে হাতে কলমে উপস্থাপন করেন বিজিবির হাবিলদার লুৎফর রহমান।
সভায় বিজিবির বিভিন্ন পর্যায়ের অর্ধশত কর্মকতা উপস্থিত ছিলেন।
এইচআইএইচ/এইসএস