এবার হবে ফাইনাল অভিযান : ডিএনসিসি মেয়র |
![]() ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, 'মশার লার্ভা ধংস ও পরিচ্ছন্নতার লক্ষ্যে চিরুনি অভিযানের প্রথম পর্যায় ছিল সেমিফাইনালের অংশ। আজ থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযান শুরু হলো। এবার হবে ফাইনাল।' রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গেট থেকে দ্বিতীয় বারের মত চিরুনি অভিযানের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, 'প্রথম পর্যায়ে এডিসের লার্ভা পাওয়া স্বত্ত্বেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। এবার আর কোন ছাড় নয়। এবার হবে জরিমানা।' তিনি বলেন, 'আমরা প্রথম পর্যায়ের অভিযানের সময় প্রায় ৬৫ হাজার বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পেয়েছিলাম। তখন সেসব বাড়িতে স্টিকার লাগানোসহ তাদের সাবধান করে আসা হয়েছিল, বলা হয়েছিল এসব বাড়িতে আমরা আবার আসবো, আর তখন যদি লার্ভা বা জমে থাকা পানি অথবা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ পাওয়া যায় তাহলে আমরা জরিমানা করবো। আজ থেকে আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযান শুরু করলাম। এবার আর কোন মাফ নেই, এবার সবাইকে জরিমানার আওতায় আনা হবে। প্রথমবার ছিল সেমিফাইনাল এবার হবে ফাইনাল অভিযান।' আতিকুল ইসলাম বলেন, 'আমরা এ শহরটাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে চাই। কিন্তু এত বড় পরিসরে সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে তা করা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রতিটি নাগরিকের সহযোগীতা প্রয়োজন। জনগণ একটু সচেতন হলেই এটা করা সম্ভব হবে। এই চিরুনি অভিযানে আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ভাগে ভাগ করে পরিচ্ছন্নতা ও এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে কাজ করবো।এছাড়া ওই ১০ ভাগকে আবার ১০টি সাব ভাগে ভাগ করে মোট ৩৬০টি ব্লকে আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযান শুরু করেছি।' উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া,প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি.জে মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মঞ্জুর হোসেন, স্থানীয় কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা, মোবাশ্বর হোসেন, রজব উদ্দিন প্রমূখ। গত ২৫ আগস্ট থেকে মশা মারতে চিরুনি অভিযান শুরু করেছিল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। চিরুনি অভিযানে প্রথম দফার ১২ দিনে ৩৬টি ওয়ার্ডে সর্বমোট ১ লাখ ২১ হাজার ৫৬০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১ হাজার ৯৫৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পেয়েছিল ডিএনসিসি। এছাড়া ৬৭ হাজার ৩০৬টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান বা জমে থাকা পানি পেয়েছিল। -এমএ |