দেশে সাত জেলায় বজ্রপাতে এক দম্পতিসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে এ খবর জানা গেছে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বজ্রপাতে নারী সহ ৩ জন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছে। এঘটনায় ৫টি গরুও মারা গেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের ডাকাতমারা চরে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে নূরু প্রামাণিকের ছেলে আমিরুল ইসলাম(৪০) ও তাঁর স্ত্রী ফাইমা বেগম বেলচা (৩০) ঘটনাস্থলে নিহত হন। এসময় তার পাঁচটি গরু মারা যায়।একই সময় সারিয়াকন্দি সদর ইউনিয়নের নিজ বাটিয়া চরের তহসিনের ছেলে সুমন (৩২) পাট ধোওয়ার সময় বজ্রপাতে আহত হয়। তাকে সারিয়াকান্দি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
এছাড়া ফরিদপুরে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে এক নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। সালথা উপজেলার কাগদি স্বজনকান্দা গ্রামের ইদ্রিস মোল্যার স্ত্রী হাসি বেগম (৪৫), বাতা গ্রামের ইসমাইল মোল্যার ছেলে বিল্লাল মোল্যা (৪৭) এবং নগরকান্দা উপজেলার দক্ষিণ বিলনালিয়া গ্রামের পাচু বেপারীর ছেলে ইমরান বেপারী (২২)।
এর আগে ভোর সাড়ে ৬টার দিকে পটুয়াখালীর গলাচিপায় বজ্রপাতে মতিউর রহমান ফরাজী (৬৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের হরিদেবপুর গ্রামের মৃত ধলু ফরাজীর ছেলে।
এছাড়া দুপুরে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মঙ্গল চন্দ্র সরকার (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত মঙ্গল চন্দ্র সরকার উপজেলার মৌহালী এলাকার মৃত লালু চন্দ্র সরকারের ছেলে।
এদিকে বিকেল ৩টার দিকে মাগুরায় পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করার সময় বজ্রপাতে ওয়ালিদ বিশ্বাস (৩৪) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার নলদাহ গ্রামের অরুণ বিশ্বাসের ছেলে।
বিকেল ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বজ্রপাতে ধুইতা সেখ (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে।
অপরদিকে সন্ধ্যায় জামালপুরের মাদারগঞ্জে পৃথক দুটি স্থানে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন-উপজেলার জোড়খালী ইউনিয়নের খিলকাঠি গ্রামের টিটু মিয়ার ছেলে সারোয়ার হোসেন (১৫) এবং একই ইউনিয়নের চরগোলাবাড়ী নামাপাড়া গ্রামের গণি মিয়ার ছেলে রাসেল (২২)।