হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় ট্রিপল মার্ডারের দুই মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। অন্যান্য আসামিদের বেখসুর খালাস দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুর ১টায় জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় প্রদান করেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়েরা জজ এস এম নাসিম রেজা।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার পুরাণ পাথারিয়া গ্রামের তোরাব আলী, সুরুজ মিয়া, আলী মোহাম্মদ ও করম আলী।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, পুরাণ পাথারিয়া গ্রামের আলী মোহাম্মদ ও করম আলীর মধ্যে একটি পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
১৯৯৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে করম আলীর পক্ষের সায়েদ মিয়া বিরোধপূর্ণ পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময় আলী মোহাম্মদ গোসল করতে নিষেধ করে সায়েদ মিয়াকে। এনিয়ে দুইজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে আলী মোহাম্মদের পক্ষের নুর মোহাম্মদ ঘটনাস্থলে মারা যায়।
এছাড়াও করম আলীর পক্ষের শামসুল হককে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় আফিল উদ্দিনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেবার পথে মারা যায়। নুর মোহাম্মদ হত্যার ঘটনায় আলী মোহাম্মদ বাদী হয়ে ১শ’জনকে আসামি করে বানিয়াচং থানায় মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে শামসুল হক ও আফিল উদ্দিন হত্যার ঘটনায় আফিল উদ্দিনের স্ত্রী আতিকুনেচ্ছা বাদী হয়ে ৪৬ জনকে আসামি করে বানিয়াচং থানায় মামলা দায়ের করেন।
উভয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বানিয়াচং থানার তৎকালীন এসআই অমরেন্দ্র মল্লিক ১৯৯৯ সালের ১১ আগস্ট নুর মোহাম্মদ হত্যা মামলায় ১০৩ জনকে ও আফিল উদ্দিন ও শামসুল হক হত্যা মামলায় ৬২ জনকে আসামি করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।