স্থানীয়দের ভরসা রেল স্টেশন-ব্রীজ ও সড়ক সেতু |
![]() আজমতপুর-ইটাখোলা বাইপস সড়কের চরসিন্দুর সেতু। গাজীপুরের কালীগঞ্জে সরকারি বা বেসরকারি কোন বিনোদন পার্ক বা কেন্দ্র নেই। তাই স্থানীয়দের অবসর বা বিনোদনের মুহূর্তগুলোকে উপভোগ করার ভরসা ঢাকা-চট্রগ্রাম রেলরুটে আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশন, শীতলক্ষ্যা নদীর ওপরে ঘোড়াশাল ব্রীজ, টঙ্গী-কালীগঞ্জ-নরসিংদী বাইপাস সড়কের শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতু, আজমতপুর-ইটাখোলা বাইপস সড়কের চরসিন্দুর সেতু এবং বালু নদী ওপরে উত্তরা-কালীগঞ্জ সড়কের তেরমুখ সেতু। ঝুঁকি নিয়ে জনউন্নয়নমূলক এসব স্থাপনাগুলোতে স্থানীয়রা অবসর সময় কাটান। তবে এলাকাবাসীর দাবি এখানে বিনোদন পার্ক বা কেন্দ্র তৈরি করা হোক। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, দ্রুতই নির্মাণ হবে বিনোদন স্পট। ঈদের আনন্দকে দ্বিগুণ করতে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে বের হয়। কিন্তু বিনোদনের ভালো কোন স্থান না পেয়ে নিরাশ হয়ে ফিরে যায় তারা। এ উপজেলায় এক সময় ঐতিহ্যকে ধারণ করে দর্শকদের মাতিয়ে রাখতো ‘আলোঘর’ ও ‘জামালপুর’ সিনেমা হল। এসব সিনেমা হল ভেঙ্গে এখানে নির্মাণ করা হয়েছে বহুতল মার্কেট। ফলে স্থানীয় সিনেমা প্রেমীরাও হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ এ উপজেলার আশপাশের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভীড় করলেও অনেকে তা করতে পারছেন না। কারণ সাধ থাকলেও তাদের সাধ্য নেই। বালু নদী ওপরে উত্তরা-কালীগঞ্জ সড়কের তেরমুখ সেতুতে বেড়াতে আসা ইউনাইটেড হাসপাতালের চাকরিজীবী সালাউদ্দিন রনি বলেন, 'কালীগঞ্জে পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়ানো বা অবসর কাটানোর মত কোন স্থান নেই। নেই বিনোদনের জন্য কোন সিনেমা হল বা পাবলিক থিয়েটারও।' কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বলেন, 'স্বাধীনতার পর থেকেই এ উপজেলায় বিনোদন কেন্দ্রের জন্য উদ্যোগ নেয়নি কোনো সরকার। এমনকি প্রশাসনের সহায়তায় বেসরকারি পর্যায়েও ভালো পার্ক বা উদ্যান গড়ে ওঠেনি। এক যুগ আগে কালীগঞ্জে আলোঘর ও জামালপুর সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে স্থানীয়রা হলে বসে সিনেমা দেখা থেকেও বঞ্চিত রয়েছে। অথচ এক সময় এ দুটি সিনেমা হলে কালোবাজারিতেও টিকিট পাওয়া দুষ্কর ছিল।' উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শিবলী সাদিক বলেন, 'বিনোদন পার্ক বা কেন্দ্র নির্মাণের ব্যাপারে উপজেলার দুটি স্থানের নাম উল্লেখ্য করে ইতোমধ্যে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। সেগুলো অনুমোদন হলে স্থানীয়দের অবসর কাটানো বা বিনোদনের কোন সমস্যা হবে না।' -এমএ |