For English Version
শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
হোম

নুসরাত হত্যা

যে কারণে বাঁচানো যায়নি নুসরাতকে জানালেন চিকিৎসক

Published : Friday, 9 August, 2019 at 12:08 PM Count : 869

ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার ( ০৮ আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে’র তিনজন চিকিৎসক ও একজন জেষ্ঠ্য সেবিকার সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়।

আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে জেলা জজ আদালতের সরকারী কৌসূলী হাফেজ আহাম্মদ বলেন, বৃহস্পতিবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে তিনজন চিকিৎসক ও একজন সেবিকা সাক্ষ্য গ্রহন করেন।
এরা হলেন, ঢামেক এর বার্ন ইউনিটের সহযোগি অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ, মেডিকেল অফিসার ডা. প্রদীপ বিশ্বাস, মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ওবায়দুল ইসলাম ও জেষ্ঠ্য সেবিকা অর্চনা পাল।  আদালত আগামী ১৮ আগষ্ট মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।  ওইদিন সিআইডির হস্তলিপি বিশেষজ্ঞ মো. সামছুল আলমের সাক্ষ্যগ্রহনের কথা ছিল। কিন্তু তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করায় ওইদিন একই অফিসের অপর এক কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহন করা হবে বলে জানান পিপি। এ পর্যন্ত মামলার মোট ৮৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন সম্পন্ন হয়।

আদালত সূত্র জানায়, গত ১০ এপ্রিল রাতে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হলে পরদিন ১১ এপ্রিল সকালে নুসরাতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেন ডা. সোহেল মাহমুদ। তিনি বৃহস্পতিবার ফেনীর আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরীকালে কি পেয়েছেন তার বর্ননা দেন। তিনি বলেন, প্রতিবেদন তৈরীকালে আমার সহকর্মী, একই বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রদীপ বিশ্বাস ও ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন। তারাও সুরতহাল প্রতিবেদনে সাক্ষর করেন। বৃহস্পতিবার শুনানী চলাকালে ডা. প্রদীপ বিশ্বাস উপস্থিত থাকলেও আরেক সাক্ষী ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস অনুপস্থিত ছিলেন।

অপর সাক্ষী ডা. মো. ওবায়দুল ইসলাম আদালতে বলেন, নুসরাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। আমি ০৬ এপ্রিল বিকালে বার্ন ইউনিটে ভর্তির পর নুসরাতের মৃত্যুকালীন জবানবন্দী গ্রহন করি।  জবানবন্দি প্রদানকালে নুসরাত শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘটনার বিভিন্ন অংশ যেটুকু পেরেছে-বর্ণনা করেছে।  আমি তাকে বার বার প্রশ্ন করে করে লিখতে থাকি।  জবানবন্দী লেখা হলে আমি তা পড়ে শোনাই।  তখন তার সাক্ষর করার মতো অবস্থা ছিলনা।  তাই তার টিপসই নেয়া হয়।  জবানবন্দী গ্রহনের সময় মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. এ কে এম মনিরুজ্জামান ও জেষ্ঠ্য সেবিকা অর্চনা পাল উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত জবানবন্দিতে তিনজনেরই সাক্ষর আছে বলে আদালতকে জানান ডা. ওবায়দুল ইসলাম। তিনি বলেন, দাহ্য পদার্থের মাধ্যমে নুসরাতের শরীরে আগুন দেয়া হয়।  তার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় বঁচানো সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।  বৃহস্পতিবার সাক্ষী অর্চনা পালের সাক্ষ্য তার ঊর্ধ্বতন চিকিৎসক মো. ওবায়দুল ইসলামের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় আদালত “উভয়ের একই বক্তব্য” হিসেবে তা লিপিবদ্ধ করেন। পরে তাদের জেরা করেন আসামীপক্ষের আইনজীবিরা।

এমএটিভি/এইচএস

রিকুইজিশন লেটার মূলে ইফতেখার উদ্দিন রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়
পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন
নুসরাত হত্যা : সাক্ষ্য দিলেন জবানবন্দি নেয়া ম্যাজিস্ট্রেট

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,   [ABOUT US]     [CONTACT US]   [AD RATE]   Developed & Maintenance by i2soft