রাঙ্গামাটিতে বেড়েছে মশার উপদ্রব, ডেঙ্গু আক্রান্ত ২
Published : Monday, 29 July, 2019 at 8:37 PM Count : 399
প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় বেড়ে যায় মশার উপদ্রব। রয়েছে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগের ঝুঁকিতে। রাঙ্গামাটি বেশীর ভাগ ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে থাকলেও নতুন করে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া কিছু চিন্তায় ফেলে দিয়েছে রাঙ্গামাটিবাসীকে।
এ বছরও টানা বৃষ্টির ফলে জমে যাওয়া পানি ও বর্ষা মৌসুমে ঝোপ জঙ্গলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। এতে শত শত মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
রাঙ্গামাটির উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা থাকলেও রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন। তবে নতুন করে রাঙ্গামাটিতে দুইজন ডেঙ্গু পজেটিভ রোগীর ভর্তি হওয়ায় কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে রাঙ্গামাটির জনগণ।
তবে রাঙ্গামাটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ঢাকা থেকে আসা ডেঙ্গু রোগীরা এখানে ভর্তি হয়েছেন। এই পর্যন্ত দুজন নারী রোগীর চিকিৎসা সেবা নিয়ে হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতাল আরএমও ডাঃ শওকত আকবর, রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু পজেটিভ নিয়ে ভর্তি হওয়া দু’জন মহিলা রোগী এবং কয়েকজন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। দুই একটা ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়ায় আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই। তবে সবাইকে অবশ্যই সর্তকতার সাথে থাকতে হবে। দুপুরে ও রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারী ব্যবহার করতে হবে। তবে জেলার ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগের পরিক্ষা নিরিক্ষার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট পরিমানের যন্ত্রপাতি রয়েছে সেইগুলো আমরা নিয়মিত ব্যবহার করছি। আর ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমাতে ও ডেঙ্গু রোগ যাতে ছড়াতে না পারে তার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ ও বেসরকারী সংস্থা ব্রাক যৌথ উদ্দ্যেগে মশারি বিতরণসহ বিভিন্ন সচেতনতা মূলক কার্যক্রম গ্রহন করা হয়েছে।
এদিকে, রাঙ্গামাটির দূর্গম উপজেলা বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি ও জুড়াছড়ি উপজেলায় মশার উপদ্রব বাড়ায় সেখানে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত জুন মাসে রাঙ্গামাটি জেলায় ৭১০ জন এবং চলতি মাসে ৩৪৫ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। তবে এতে কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি। আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগিই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
এইচআইকেআই/এইচএস