চতুর্থ দিনে সিরাজগঞ্জের পরিবহন ধর্মঘট |
এর ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক হয়ে অন্যান্য জেলার সঙ্গে ঢাকামুখী যানবাহন চলাচল করলেও সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকাসহ কোন জেলায় বাস ও ট্রাক চলাচল করছে না। অন্য কোন জেলা থেকেও সিরাজগঞ্জে কোন বাস ও ট্রাক প্রবেশ করছে না। এতে শহরে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, রিকশা, ইজিবাইকসহ অন্যান্য ছোট যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও সিরাজগঞ্জের সঙ্গে কোন জেলার বাস, ট্রাক চলাচল না করায় দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও যাত্রীরা। সিরাজগঞ্জ পরিবহন বাস, মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেজবাহুল ইসলাম লিটন ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী জানান, যতদিন তাদের সমস্যার সমাধান না হবে ততদিন তাদের এই পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত থাকার পাশাপশি আগামীতে আরও কঠোর কমসূচি দিয়ে তাদের দাবি আদায় করা হবে। গত ঈদ-উল-ফিতরের পর রাজধানীর মহাখালী বাস মালিক সমিতির অন্তর্ভূক্ত সেবা লাইন পরিবহন ঢাকা-সিরাজগঞ্জ রুটে চালু করা হয়। এতে বাধা দেয় সিরাজগঞ্জ বাস মালিক সমিতি। ফলে উভয় মালিক সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। গত ৯ জুলাই সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের আহ্বানে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে একটি সমঝোতা বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বৈঠকে কোন সমাধান না হওয়ায় জেলা প্রশাসক ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে উভয় পক্ষকে নিজেরা বসে বিষয়টি সমাধানের পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে দুই পক্ষ বৈঠকে না বসায় এবং ১৩ জুলাই মহাখালি বাস টার্মিনাল থেকে সিরাজগঞ্জের বাস মালিক সমিতির বাস চলাচলে বাধা দেয় মহাখালি বাস মালিক সমিতির নেতারা। ঘটনার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকেও সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসন ও সেবা লাইনের বাস কাউন্টার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসনকে সময় বেঁধে দেয় সিরাজগঞ্জ বাস মালিক সমিতি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন সমাধান না হওয়ায় গত ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ভোর থেকে সিরাজগঞ্জে অনিদিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়। -এবি/এমএ |