এরশাদের লাশ ছিনতাই করলো রংপুরবাসী
Published : Tuesday, 16 July, 2019 at 3:32 PM Count : 555
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চতুর্থ জানাজা রংপুরে সম্পন্ন হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ জানাজায় শরিক হয়। জানাজার পর এরশাদের মরদেহ রংপুরে দাফন করার দাবিতে সেখানে হট্টগোল শুরু হয়। একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে তারা ব্যারিকেড দিয়ে এরশাদের মরদেহ পল্লী নিবাসে নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার বাদ জোহর রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে এরশাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে বেলা পৌনে ১২টায় এরশাদের মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টার রংপুর সেনানিবাসে এসে পৌঁছায়। প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো দেখতে সকাল থেকেই জানাজা মাঠে উপস্থিত হতে থাকেন দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। বিশৃঙ্খলা এড়াতে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। মরদেহ আসার পর পরই পুলিশি বেষ্টনী ভেঙে মরদেহের কাছে ছুটতে থাকেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
ঈদগাহ ময়দানে এরশাদের মরদেহ নেওয়ার পর থেকেই সেখানে রাখা মাইকে এরশাদকে রংপুরে দাফনের দাবি ওঠে। জানাজার আগে দেয়া বক্তব্যে মেয়র মোস্তাফিজ এই দাবি আবারও তোলেন। এরপর জিএম কাদের বক্তব্য শুরু করেন। কিন্তু তাঁর বক্তব্যের মাঝেই দাফনের বিষয়টি উল্লেখ করে শ্লোগান শুরু হয়। বেলা ২টা ২৫মিনিটে এরশাদের জানাজা শুরু হয়। জানাজার পর শত শত কর্মী এরশাদের মরদেহ বহনকারী গাড়িটি ঘিরে ধরে। তারা রংপুরে কবর দেওয়ার দাবি করেন। গাড়িটিতে আছেন মেয়র মোস্তাফিজ।
ময়দানে মাইক থেকে তাঁর প্রতি আহ্বান জানানো হয়, মরদেহ যেন রংপুর থেকে ঢাকায় না যায়।
গত রোববার (১৪ জুলাই) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি রক্তে সংক্রমণসহ লিভার জটিলতায় ভুগছিলেন।
রংপুর-৩ (সদর) আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তিনি এ আসন থেকে টানা ছয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
-এমএ