তিস্তায় অপরিবর্তিত, ধরলার পানিবৃদ্ধি অব্যহত
লালমনিরহাটে পানি বন্দী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে
Published : Friday, 12 July, 2019 at 2:03 PM Count : 408
লালমনিরহাটে কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে তিস্তা, ধরলাসহ ছোট বড় সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও তা শুক্রবার সকাল ৬টায় মাত্র ১ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আবার ধরলার পানি বৃহস্পতিবার সকালে ৫৮ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার সকালে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর ফলে চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী অঞ্চললোতে বন্যা ও জলাবন্ধতা দেখা দেয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে জেলা অন্তত ১০ হাজার পরিবার। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন নীচু এলাকা।
জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ৬ ইউনিয়নসহ তিস্তা ও ধরলা নদীর তীরবর্তী ইউনিয়নগুলোতে পাঁচ হাজারের অধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্রাহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যহত থাকায় তিস্তার পানি নামতে পারছে না। ফলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। তবে আগামী ২৪ ঘন্টায় আর পানি সামান্য কমার আভাস পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বজলার রহমান।
চর অঞ্চলের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর চর এলাকা গুলোতে লোকজন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা সির্ন্দুনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরল আমিন জানান, ভারী বর্ষণের কারণে তার ইউনিয়নে ২ হাজার পরিবার, পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিউল আলম রোকন জানান, বৃষ্টির পানিতে তার ইউনিয়নে তিস্তার নদীর চর এলাকায় ১ হাজার ২ শত পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
এছাড়া ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে ৬ শত এবং গড্ডিমারী ইউনিয়ন ৪ শত পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে বলেন জানান, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ ও গড্ডিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ডাঃ আতিয়ার রহমান।
এদিকে জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নের জলাবন্ধতার কারণে দুই হাজার পরিবার পানি বন্দি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র দোয়ানী ডালিয়া’র নির্বাহী প্রকোশীলী রবিউল ইসলাম জানান, উজান থেকে আসা পানি আর ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর এলাকার লোকজন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
এমএস/এইচএস