আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে স্বামী গ্রেফতার
Published : Wednesday, 12 June, 2019 at 5:20 PM Count : 355
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে যৌতুকের জন্য স্ত্রী জিয়াসমিন আক্তার (৩৮) কে নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার একমাত্র আসামি স্বামী সিরাজুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান নেতৃত্বে ও ওসি তদন্ত হেলালউদ্দিনের অভিযানে সিরাজুল ইসলামকে গাজীপুর জেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গৃহবধূ জিয়াসমিন চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এর আগে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ৭ জুন শ্রীনগরের শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের সেলামতি গ্রামের স্বামীর বাড়িতে জিয়াসমিন আক্তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চলায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর ১০ জুন জিয়াসমিনের বড় ভাই সেরাজ চৌধুরী আরিফ বাদী হয়ে স্বামী সিরাজুল ইসলামকে আসামি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (খ) ধারায় মামলা করেন। মামলা নং ৯।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীনগর উপজেলা শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের সেলামতি গ্রামের বেকার সিরাজুল ইসলাম যৌতুকের জন্য ২ লাখ টাকা দাবি করে তার স্ত্রী জিয়াসমিনের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় কলহ হতো। একপর্যায়ে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে জিয়াসমিনকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করেন। ৪দিন পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যায় জিয়াসমিন আক্তার।
জিয়াসমিন কোলাপাড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মন পাইকসা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ চৌধুরীর মেয়ে। প্রায় ২৩ বছর আগে সেলামতি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে প্রতিবন্ধী ১ মেয়ে ও মালয়েশিয়া প্রবাসী ১ ছেলে রয়েছে।
এমএইচএস/এইচএস