শাকিব-ববির ছবিতে দর্শক খরা
Published : Monday, 10 June, 2019 at 6:56 PM Count : 399
লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের রূপান্তর সিনেমা হল ঈদে বিনোদনের জন্য শাকিব-ববির অভিনীত ছবি চালানো হলেও দুটি শো মিলিয়ে দুই নিরাপত্তা কর্মীসহ ৫/৭ জন দর্শক হয়েছে। যদিও হলটির ধারণ ক্ষমতা ৬০০ জনের। হল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রযুক্তির আধুনিকায়নের ফলে হলে দর্শকের ভাটা দেখা দিয়েছে।
সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, দেশীয় প্রযোজনায় নির্মিত ‘নোলক’ পরিচালনা করেছেন প্রযোজক সাকিব ইরতেজা। এতে অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও ববি। ছবিটির বেশিরভাগ শুটিং করা হয়েছে ভারতের রামুজি ফিল্ম সিটিতে। এই ঈদে প্রায় ৭০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ছবিটি। ফেরারি ফরহাদের কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্যে ছবিটি প্রযোজনা করেছে বি হ্যাপি এন্টারটেইমেন্ট।
রূপান্তর সিনোমা হল পরিচালনাকারী সূত্রে জানা যায়, ছবিটি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয় করে নিয়ে আসে প্যানেল মেয়র শাহজালাল সাজু ও ঈমন। ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ভাড়া নেয়া হলটি ঈদুল ফিতর থেকে ঈদুল আজহা পর্যন্ত। চেয়ার, ফ্যান, লাইট, জেনারেটর ভাড়া বাবদ দৈনিক খরচ ১৫০০ টাকা। ব্যবস্থাপনা ও প্রচারণা খরচ ৪ হাজার টাকা। ৫ তারিখে ঈদের দিন ছবিটি ব্যবসা করে ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু চিত্র পাল্টে যায় পরদিন প্রতিদিন ৪টি শো চালায় হল মালিকেরা। প্রতিটি শোতে দর্শক কমতে থাকে। হলের ভিতরের পরিবেশ নেই। নিচ তলায় যেখানে প্রায় ৬০০ দর্শক ধারণ করত সেখানে পানি জমে আছে বসার ব্যবস্থা তো দূরের কথা সেখানে যাওয়ার ব্যবস্থা নেই। ডিসিতে ১০০টি চেয়ার ভাড়া করে তা দিয়ে চালানো হচ্ছে হলটি। টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা।
উপজেলায় একসময় ৭টি প্রেক্ষাগৃহ ছিলো। প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে দর্শক ছিলো চোখে পড়ার মত। এখন একটি মাত্র সিনেমা হল তাও ঈদে ব্যবসা করে। লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে ঈদে আনা সিনেমায় এখন দর্শক হয় হাতে গোনা।
এ ব্যাপারে হল মালিক ঈমন বলেন, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এখন আর হলে আসে না। কারণ প্রত্যেকের হাতেই এখন এনড্রয়েট মোবাইল সেট। তবে পরিবার পরিজন সহ সিনেমা হলে এসে বিনোদন লাভ করার স্বাদ মোবাইলে নেই।
অপর হল মালিক প্যানেল মেয়র শাহজাহাল সাজু বলেন, লস তো হবেই তারপরও ‘আমি নেতা হব’ ছবিটি আনবো লস উঠানোর জন্য।
এইচএস