পাকুন্দিয়ায় কিশোরী ধর্ষিত, দুই ধর্ষক আটক |
![]() ষাইটকাটহন পূর্বপাড়া গ্রামের রেনু মিয়ার পুত্র কাউসার (১৪) ও সেলিম মিয়ার পুত্র ফেরদৌস (১৬) পাকুন্দিয়া থানার ষাইটকাটহন পূর্বপাড়া গ্রামের রেনু মিয়ার পুত্র কাউসার (১৪) ও সেলিম মিয়ার পুত্র ফেরদৌস (১৬) তারাবির নামাযের সময় খোকন মিয়া কন্যা রত্না (১১) কে ডেকে নেয়। পরে তারা জোর পূর্বক মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মেয়ের মা পাকুন্দিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষকদ্বয়কে আটক করে। মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করলে ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এদিকে ঘটনার শিকার মেয়েটিকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ২০০০ সনের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ২২ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন জানান। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনার শিকার রত্না জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করার জন্য সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওবায়দা খানমের নিকট প্রেরণ করেন। তিনি ঘটনার শিকার রত্নার জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করেন ও ঘটনার শিকার কিশোরী স্ববিস্তারে ঘটনার বর্ণনা দেয়। তাছাড়া তাকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তার পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে ডাক্তার বিলকিছ ফারহানা তার মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। এতে ধর্ষণের সুস্পষ্ট আলামত পাওয়া গেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, মামলা দায়েরের পরপরই অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করা হয়। তাছাড়াও দ্রুততার সাথে ঘটনার শিকার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষাসহ জবানবন্দী গ্রহণ করতে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সবিস্তারে আর কিছুই উল্লেখ করেননি। এলআরআর/এইচএস |