অবৈধ দখলের শিকার রাণীনগরের যাত্রী ছাউনিগুলো
Published : Wednesday, 10 April, 2019 at 10:16 AM Count : 525
নওগাঁর রাণীনগরের একাধিক প্রধান সড়কের পাশে নির্মিত যাত্রী ছাউনিগুলো অবৈধ ভাবে বেদখলের শিকার হওয়ার কারণে সেগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ব্যবহার করতে পারছেন না যানবাহনের জন্য রাস্তায় অপেক্ষারত যাত্রী সাধারণরা।
তবে যাত্রী ছাউনিগুলো যেহেতু আর আগের মতো ব্যবহৃত হচ্ছে না তাই সেগুলো উদ্ধার করে দোকান কিংবা মার্কেট নির্মাণ করলে প্রতি বছর সরকার অনেক টাকা রাজস্ব হিসেবে আয় করতে পারবে বলে স্থানীয়দের দাবি।
সূত্রে জানা, এক সময় নওগাঁ থেকে রাণীনগরের পূর্বাঞ্চল আবাদুপুকর হয়ে কালীগঞ্জ যাওয়ার সড়কের পাশে এবং নওগাঁ থেকে রাণীনগর দিয়ে আত্রাই যাওয়ার সড়কের একাধিক স্থানে রাস্তায় অপেক্ষমান যাত্রী সাধারণের বসার জন্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছিলো যাত্রী ছাউনি। বর্তমান সময়ে এসব রাস্তা দিয়ে যাত্রীবাহী বাসের চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রী ছাউনিগুলো আর ব্যবহৃত হয় না। এসব প্রধান প্রধান সড়কে সিএনজি, অটোরিক্সা, অটোভ্যান, অবৈধ ভটভটিসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রায় ৫ মিনিট পর পর যাতায়াত করছে। যে কারণে রাস্তায় এসে যাত্রী সাধারণদের কোন যানবাহনের জন্য আর ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় না। যার ফলে এই যাত্রী ছাউনিগুলো আগের মতো আর ব্যবহৃত হয় না। স্থানীয়দের দ্বারা যাত্রী ছাউনিগুলো দীর্ঘ দিন অবৈধ ভাবে দখলের শিকার হওয়ার কারণে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে যা জনসাধারণের কোন উপকারে আসছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি ছাড়াই স্থানীয়রা যাত্রী ছাউনিগুলো অবৈধভাবে দখল করে নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোন কোন যাত্রী ছাউনিতে ইটের খোয়া মজুদ করে রাখা হয়েছে। আবার কোন কোন যাত্রী ছাউনিতে সেুলন আবার কোনটিতে ভ্রাম্যমাণ দোকান দিয়ে দখল করে রাখা হয়েছে। তাই শত ইচ্ছে থাকলেও যাত্রীরা বসতে পারে না এসব ছাউনিগুলোতে।
স্থানীয়দের দাবি, যেহেতু যাত্রী ছাউনিগুলো আগের মতো আর ব্যবহৃত হয় না বেশির ভাগ যাত্রী ছাউনিগুলো বর্তমানে অবৈধ দখলের শিকার তাই সরকার যদি এই যাত্রী ছাউনিগুলো উদ্ধার ও সম্প্রসারণ করে দোকান কিংবা মার্কেট নির্মাণ করে ভাড়া দেয় তাহলে প্রতি বছর রাজস্ব হিসেবে অর্থ আয় করতে পারতো এবং জায়গাগুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হতো।
খানপুকুর এলাকার যাত্রী আব্দুল খালেক, আমিনুল ইসলামসহ আরও অনেকেই বলেন, যাত্রী ছাউনিগুলো অবৈধ দখলের কারণে আর ব্যবহার করা যায় না। আর এই রাস্তাগুলো দিয়ে বর্তমানে অনেক যানবাহন চলাচল করায় যাত্রী ছাউনিতে আর অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয় না। তাই সরকার এই জায়গাগুলো উদ্ধার করে দোকান কিংবা মার্কেট নির্মাণ করে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করবে এমনটাই দাবি আমাদের সকলের।
জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন প্রধান সড়কে আর যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে না। আর আগের চেয়ে রাস্তায় এখন অনেক বেশি যাত্রাবাহী যানবাহন চলাচল করে এ কারণে রাস্তায় এসে যাত্রীদের আর বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় না। ফলে নির্মিত যাত্রী ছাউনিগুলো আগের মতো আর ব্যবহৃত হয় না। অব্যবহৃত এসব যাত্রী ছাউনিগুলো উদ্ধার করে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে জেলা পরিষদ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অতিদ্রুত এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হলে যাত্রী ছাউনিগুলো আর অবৈধ দখলের শিকারে থাকবে না।
-এমএ