বিএনপির তিন প্রার্থী নির্বাচন থেকে আউট
Published : Monday, 17 December, 2018 at 6:55 PM Count : 410
আপিল বিভাগের আদেশে বিএনপি–মনোনীত তিন প্রার্থীর ভোটের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ আসনের সরকার বাদল, বগুড়া-৩ আসনের আবদুল মুহিত তালুকদার ও ঢাকা-২০ আসনের তমিজ উদ্দিন আহমেদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল।
এর আগে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে থেকে নির্বাচন করার প্রেক্ষাপটে পৃথক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই তিনজনের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের পৃথক বেঞ্চ রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিলেন।
বগুড়া-৭ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার বাদল হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দেন।
একইভাবে বগুড়া-৩ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মুহিত তালুকদার হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে ইসিকে নির্দেশ দেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে ইসি আবেদন করে আপিল বিভাগে। শুনানি নিয়ে ১১ ডিসেম্বর চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। শুনানি নিয়ে সোমবার আপিল বিভাগ চেম্বার বিচারপতির দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন।
ঢাকা-২০ আসনে তমিজ উদ্দিন আহমেদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেনজির আহমেদ। তাঁর যুক্তি, ধামরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগের আগে তমিজ উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে গৃহীত হয়। বেনজিরের করা রিটের শুনানি নিয়ে ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তমিজ উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণায় ইসির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। এ কারণে আটকে যায় তমিজ উদ্দিনের নির্বাচনে অংশ নেওয়া।
এই আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেন তমিজ উদ্দিন। চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন। ফলে, তমিজ উদ্দিনের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খুলে যায়। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ চেম্বার বিচারপতির দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেন। এ কারণে তমিজ উদ্দিনের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের পথ আবারও আটকে যায়।
আদালতে ইসির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে, তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও প্রবীর নিয়োগী।
এইচএস