ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা
শুধু চালে চলে না জেলের সংসার
Published : Wednesday, 30 October, 2024 at 12:00 PM Count : 229
বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৮৪ দিন ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকতে হয় জেলেদের। এই নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। আর জেলেরা যাতে এই সময়ে বাড়িতে থেকে পরিবার নিয়ে থাকতে পারে সেই লক্ষ্যে সরকার জেলেদের কার্ডের মাধ্যমে ভিজিএফের চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
কিন্তু সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সাগরে মাছ ধরতে যায় অনেকে। আর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় তাদের জেল-জরিমানার আওতায় আনে প্রশাসন।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় প্রায় এক লাখ জেলে ইলিশ মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার মধ্যে সরকার নিবন্ধিত জেলে ৪৭ হাজার ৩১১ জন, সরকারের পক্ষ থেকে এবার জেলে পুনর্বাসনের জন্য ৩৪ হাজার ৭২৫ জেলেকে কার্ডে আওতায় ৮৬৮ দশমিক ১২৫ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল দেওয়ায় হয়েছে।
তবে জেলেদের দাবি, যে পরিমাণে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে তা খুবই সামান্য মাত্র। বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৮৪ দিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া হাজার হাজার জেলে ও ব্যবসায়ীরা আর্থিক সংকটে পড়েন। আবার অনেকেই সরকারি বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই পেটের দায়ে সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাধ্য হয়ে মাছ ধরছেন।
শুধু চাল খেয়েই পরিবার বাঁচে না জানিয়ে তারা বলেন, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া, অসুখ-বিশুখে ডাক্তার দেখানোসহ একটি সংসারে অনেক খরচ থাকে সেই খরচ যোগাবো কিভাবে?
জানা যায়, দেশের সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা ও মাছের বংশবিস্তারে সুযোগ দিতে সাগরে মাছ ধরার উপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে না হতেই আবারো শুরু হয় মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পরেই আবারো শুরু হয় নিষেধাজ্ঞা।
এভাবেই নিষেধাজ্ঞার পর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় থাকতে হয় জেলেদের। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এমন উদ্বেগ কেবল জেলেদের নয়, সমুদ্রগামী ট্রলার মালিক, সামুদ্রিক মৎস্য কেন্দ্রীক ব্যবসায়ীদেরও।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, সরকার নিষেধাজ্ঞা সময় খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে বকনা বাছুর, হাঁস-মুরগী, ভেড়া ইত্যাদি দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এবার ৩৪ হাজার ৭২৫ জেলে কার্ডের আওতায় ৮৬৮ দশমিক ১২৫ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
-এমএ