শান্তিগঞ্জে স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত ৩ ইউনিয়নের মানুষ
Published : Tuesday, 15 October, 2024 at 7:04 PM Count : 259
স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করলেও জনবল সংকটে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ৩ ইউনিয়নের মানুষ। কেন্দ্রগুলোতে ২৪ ঘণ্টা প্রসূতি সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও এখন কিছুই নেই।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো হলো পাথারিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, শিমুলবাঁক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং পশ্চিম বীরগাঁও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র৷
গ্রামের মানুষের ভরসা এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন৷ কিন্তু জনবলের অভাবে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে গেছে৷ ফলে হাজার হাজার মানুষ কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন৷ দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা না দিতে পারায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এতে জনমনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে৷
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে একজন করে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার, ফার্মাসিস্ট, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক (এফডাব্লিউভি), আয়া ও অফিস সহায়ক কাম নিরাপত্তা প্রহরী থাকার কথা। কিন্তু উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, শিমুলবাঁক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং পশ্চিম বীরগাঁও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সব কটি পদ শূন্য। তাই এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসা কার্যক্রম প্রায় বন্ধই রয়েছে৷ তবে শুধুমাত্র পাথারিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতি রবিবার পশ্চিম পাগলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিদর্শিকা গিয়ে চিকিৎসা দিয়ে আসেন৷
পাথারিয়া ইউনিয়নের ১০ জন ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাথারিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি যখন চালু ছিল তখন গড়ে প্রতিদিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা পেতেন। এখন সপ্তাহের অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাজারো মানুষ। ছোট-বড় যেকোনো সমস্যা হলে স্বাস্থ্যসেবা নিতে উপজেলা সদরে যেতে হয়। এতে যাতায়াত খরচসহ নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সময় মতো জরুরি চিকিৎসা সেবা না পেয়ে অনেকে প্রাণও হারান। হাজার হাজার মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালু করা হোক।
কান্দিগাও গ্রামের গৃহবধূ আমিনা বেগম বলেন, হাতের কাছে কোন স্বাস্থ্য কেন্দ্র না থাকায় আমরা নিদারুণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। এখন কিছু হলেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়া কোন গতি নেই। এই অবস্থা চলতে থাকলে কষ্টের শেষ থাকবে না আমাদের৷ তাই দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করা হোক৷
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামীম চন্দ্র তালুকদার বলেন, জনবলের অভাবে ৩টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে৷ এতে দুর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা মানুষজন৷ জনবলের জন্য বারবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে৷ লোকবল নিয়োগ হলেই আমরা এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো৷
এসআর