উন্মুক্ত ডলারে আমদানি করা যাবে পেঁয়াজ
Published : Saturday, 14 September, 2024 at 2:40 PM Count : 254
অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করে ভারত সরকার। দীর্ঘ ৪ মাস ৯ দিন পর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে দেশটির সরকার।
এতে করে হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি ও দামও কমে আসবে বলে আশা করছেন আমদানিকারকরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক সন্তোষ কুমার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমন তথ্য জানিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীদের। সেই বিজ্ঞপ্তির কপি পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বিষয়টি জানিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান, ভারতে অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে দীর্ঘ ৫ মাস ধরে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে রেখেছিল ভারত। পরবর্তীতে চলতি বছরের ০৪ মে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলেও ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করে ভারত সরকার। এরপর হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হলেও দেশের বাজারে কমেনি দাম। শুল্ক আরোপের কারণে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দেন আমদানিকারকরা। ৪০ ভাগ শুল্ক পরিশোধ করে বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় দেশের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী ছিল পেঁয়াজের দাম। এ কারণে বিকল্প মিশর ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশে থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেন আমদানিকারকরা।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর রপ্তানি মূল্য বাড়িয়ে ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে ভারত সরকার। সেই দামেই হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করেছিলেন আমদানিকারকরা। এরপর ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন কম হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে ০৭ ডিসেম্বর ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার পরিচালক জেনারেল সন্তোষ কুমারের স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে।
গত ২৩ মার্চ সেই মেয়াদের সময়সীমা বাড়িয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার। যা ০৪ মে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রত্যাহার করে নেয় দেশটির সরকার। কিন্ত রপ্তানিতে ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করে রেখেছিল ভারত।
-এমআর/এমএ
