নিহত মাসুদের স্ত্রী-কন্যার দায়িত্ব নিলেন চাচা
Published : Tuesday, 10 September, 2024 at 4:56 PM Count : 106
গণপিটুনিতে নিহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) মেডিকেল সেন্টারের স্টোর অফিসার ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদের নবজাতক কন্যা মাসুমা ও স্ত্রী বিউটি আরা শ্বশুরবাড়িতে ঠাঁই পেয়েছেন। মাসুদের বড় ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আয়াতুল্লাহ বেহেস্তি তাদের দায়িত্ব নিয়েছেন।
তবে এ ঘটনায় থানায় এখনও কোনো মামলা হয়নি, কাউকে আটকও করতে পারেনি পুলিশ।
নিহতের পরিবার বলছে, তারা হুমকির মধ্যে রয়েছেন। মামলা করতে গেলে তাদের ওপরও হামলা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তা দিলে তারা মামলা করতে থানায় যাবেন। নিহতের স্ত্রী বিউটি আরা জানান, গত রোববার ময়নাতদন্ত শেষে মাসুদের পৈতৃক বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার খাসেরহাট গ্রামে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিয়ে কেউ না মানলেও এখন আমার ভাশুর মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের বাচ্চার সব দায়িত্ব তাঁর। এখন শ্বশুরবাড়িতে আছি। আমাদের অসহায়ত্বের বিষয়টি জানার পর অনেকেই সহযোগিতা করছেন ও বিকাশে টাকা পাঠিয়েছেন।
নিহতের বড় ভাই রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আয়াতুল্লাহ বেহেস্তি বলেন, মাসুদ নেই। তার বাচ্চা মানেই আমার বাচ্চা। আমি তাকে নিজের সন্তান ভেবেই মানুষ করব। মাসুদের স্ত্রী আমাদের সঙ্গেই থাকবে। মাসুদের স্ত্রী সিজারিয়ান রোগী, তার ইনফেকশন শুরু হয়েছে, অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও জানান, সরকার যদি নিরাপত্তা দেয়, তবে আমি রাজশাহীতে মামলা করতে যাব। কিন্তু থানায় যাওয়ার জন্য কোনো নিরাপত্তা পাচ্ছি না। শুনেছি মামলা করতে গেলে রাস্তায় বা থানায় আমার ওপর হামলা করা হবে। পুলিশেরও নিরাপত্তা নেই, আমাদের নিরাপত্তা কে দেবে?
এ বিষয়ে মহানগরীর মতিহার থানার ওসি আরিফুল ইসলাম বলেন, মামলা করতে আসার জন্য বাদী যদি নিরাপত্তা চায়, তবে অবশ্যই পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে তাঁকে থানায় মামলা করতে নিয়ে আসবে। নিহতের পরিবার যদি মামলা না করে সে ক্ষেত্রে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। এ ঘটনায় কারা জড়িত, তা এখনও আমরা জানতে পারিনি।
২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলায় পা হারান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। গত শনিবার রাতে নবজাতক কন্যার জন্য ওষুধ কিনতে বিনোদপুর বাজারে এলে তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর কন্যাসন্তানের জনক হন তিনি।
এফএ/এসআর