স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ নিহত ২
Published : Tuesday, 10 September, 2024 at 3:56 PM Count : 53
বগুড়ায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একই সময় এই নেতার পক্ষের লোকজনের হামলায় লেদু (৩৫) নামে একজন হাসপাতালে মারা গেছেন।
সোমবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার গোকুল বাজার এলাকায় এ জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে।
নিহত মিজানুর রহমান মিজান (৩৭) সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক। তিনি গোকুল এলাকার আফসার আলী সাকিদারের ছেলে।
আর লেদু মিজানের প্রতিপক্ষ বিপুল গ্রুপের অনুসারী। তিনি একই এলাকার বুলু মিয়ার ছেলে।
সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ ও ছিলিমপুর মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মিলাদুন্নবী এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী ও নিহত মিজানের স্বজনরা দাবি করেছেন, গোকুল ইউনিয়ন যুবদলের বহিস্কৃত সভাপতি বিপুল বাহিনী এ হামলা চালিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, নিহত মিজান অস্ত্রসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি ছিলেন। তার সাথে একই এলাকার বহিস্কৃত যুবদল নেতা বিপুলের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। কিছুদিন আগে দু’পক্ষের বিরোধের জেরে একটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। সোমবার রাত ৯টার দিকে লোডশেডিং চলাকালে মিজান গোকুল এলাকায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সবুজের অফিসে বসেছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে আসা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ৮/১০ জনের একদল দুর্বৃত্ত অফিসে ঢুকে মিজানকে কুপিয়ে চলে যায়। রক্তাক্ত মিজানকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় মিজানের প্রতিপক্ষের লোকজন হত্যায় জড়িত সন্দেহে লেদু নামে একজন মারপিট ও কুপিয়ে আহত করেন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে একই হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে মিজান পক্ষের লোকজন আবারো তাকে মারপিট করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে লেদু মারা যান।
বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবু হাসান জানান, মিজান তার সংগঠনের প্রাণ ছিলেন। তার সাথে বহিস্কৃত যুবদল সভাপতি বিপুলের বিরোধ চলে আসার বিষয়টি সকলে জানে। তার (আবু হাসান) ধারণা, ওই বিরোধের জের ধরেই মিজানকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিপক্ষের মারপিটে লেদু নামে একজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, হত্যাকারীদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারে তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
-এমএ/এমএ