নকল বীজে সর্বস্বান্ত কৃষক, ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন
Published : Monday, 9 September, 2024 at 2:01 PM Count : 146
বরগুনার আমতলীতে নকল ধান বীজ রোপণ করার ১ মাসের মধ্যে চারায় ধান আসায় চরম বিপাকে পড়েছে উপজেলার গোছখালী গ্রামের প্রায় অর্ধশত কৃষক। কৃষকরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে গোছখালী গ্রামে কৃষক মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নকল বীজ বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে এ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, স্থানীয় ডিলার মো. চাঁন মিয়ার কাছ থেকে ১ মাস আগে প্রাইম কোম্পানীর লাল গুটি স্বর্না বীজ ধান ক্রয় করে রোপণ করেন। কিন্তু ধান বীজ রোপণের ১ মাসের মধ্যে ধান চলে এসেছে। এতে গোছখালী গ্রামের ৫০ একর জমির ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, আমরা কৃষকরা স্থানীয় ডিলার মো. চাঁন মিয়ার কাছ থেকে ৭৭০ টাকা করে প্রাইম কোম্পানীর ১ কেজির বস্তার লাল গুটি স্বর্না ধান বীজ ক্রয় করে চারার জন্য রোপণ করি। কিন্তু রোপণের এক মাসের মধ্যে ধান চারায় থোড় ধরেছে (ধান চারায় ধান ফলেছে)। এখন কৃষকদের প্রায় ৫০ একর জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে পারবোনা। এখন নতুন করে চারা করার সময়ও নেই। আর কোথায়ও চারা বীজ পাওয়া যাচ্ছেনা। আমরা ক্ষতিগ্রস্তরা ধান বীজ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ইউনুস এন্ড সন্সের ডিলারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ ও তার বিচারের দাবি জানাই উপজেলা প্রশাসনের কাছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ডিলার মো. চাঁন মিয়া বলেন, আমতলী হাসপাতাল রোডের ইউনুস এন্ড সন্সের ডিলার ইউনুস মিয়ার কাছ থেকে এই বীজ পাইকারি ক্রয় করে কৃষকদের কাছে বিক্রি করেছি। বিষয়টি ইউনুস ডিলারকে জানানো হয়েছে। আমিও ইউনুস ডিলারের বিচার চাই।
আমতলীর ইউনুস এন্ড সন্সের মালিক বীজ ডিলার মো. ইউনুস মিয়া মুঠোফোনে জানান, লাল গুটি স্বর্না ধানের বীজ রোপণের ২৫ দিনের মধ্যে চারা রোপণ করতে হবে। কৃষকরা দেড় মাস বয়সে চারা রোপণ করায় চারার গর্ভে ধান চলে এসেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ঈসা জানান, বিষয়টি শুনেছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম বলেন, তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
-এসকে/এমএ