নিহতরা হলেন- রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও পরশুথানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারাধন রায় হারা এবং খসরু। বাকি দু'জনের পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকাল ১০টায় টাউন থেকে কৈলাশরঞ্জন মোড় এলাকা পর্যন্ত দখলে নিয়ে অবস্থান করতে থাকে সাধারণ শিক্ষার্থী। তাদের সাথে যোগ দেন অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
অন্যদিকে, বেতপট্রিতে অফিসে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বেলা সোয়া ১২টার দিকে লাঠিসোটা ও দেশিয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতার্মীরা কৈলাশরঞ্জণ মোড়ে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে ধাওয়া দিয়ে নগর ভবনের সামনের দিকে যেতে থাকে। এ সময় হাজার হাজার শিক্ষার্থী তাদেরকে ধাওয়া দেয়। শুরু হয় সংঘর্ষ।
এ সময় আ'লীগের লোকজনকে গুলি করতেও দেখা যায়। এতে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে সরকার দলীয়রা ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে যায়। কয়েকজনকে বেধড়ক পেটায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় আওয়ামী লীগ অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে নেয়া হলে তাদের মধ্যে দু'জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল মর্গে তাদের লাশ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে জরুরী বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে। নিহতদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
এদিকে, সংঘর্ষে রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও পরশুথানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারাধন রায় হারা এবং খসরু নামের দু'জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১০০ জন। তাদের মধ্যে ছয় জনের অবস্থা আশংকাজনক। এ ঘটনার পর নগরীর প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, বদরগঞ্জে এমপি ডিউক চৌধুরীর বাড়ি, মিঠাপুকুরে সাবেক এমপি আশিকুর রহমানের বাড়ি, উপজেলা অফিস, অডিটোরিয়াম আনছার ভিডিপি অফিস, পীরগঞ্জে আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
এছাড়াও, গঙ্গাচড়ায় আওয়ামী লীগের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় হারাধন রায় এবং খসরু নামের দু'জনের মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চার জনের অবস্থা গুরুতর বলে জেনেছি।
-এলওয়াই/এমএ