For English Version
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
হোম

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে কমলগঞ্জের ৫০ শয্যা হাসপাতাল

Published : Friday, 26 July, 2024 at 3:08 PM Count : 102



মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ৩১ শয্যার হাসপাতালটি অবকাঠামো নির্মাণ করে ২০১৮ সনের ১০ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ৫০ শয্যায় উত্তীর্ণ করে উদ্ধোধন করেন। প্রায় ৬বছর আগে ৫০ শয্যায় উত্তীর্ণ হলেও এখনও ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। জনবল সংকটের কারণে ভর্তি ও আউটডোর রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকে।
          
জানা যায়, প্রায় চার লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র ভরসার স্থল কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতালটিতে অবকাঠামো ও আবাসিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিদ্যমান। তবে হাসপাতালে জনবল স্বল্পতা রয়েছে। ১৪ জন ডাক্তারের পদের বিপরীতে ৪ জন। কনসালটেন্ট ৪ জনের জায়গায় আছেন ২ জন, মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ১২ জনের স্থলে ৯ জন। ফার্মাসিস্ট পদে ৪ জন রয়েছেন। ল্যাবরেটরিতে ২ জনের স্থলে ১ জন কাজ করছেন। ডেলিভারী মিড ওর্য়াকে ৭ জন কাজ করছে। এনেস্থেশিয়া কনসালটেন্ট থাকলেও জনবলের অভাবে অপারেশন থিয়েটার (ওটি) চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে ওটির যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার না করার ফলে নষ্ট হচ্ছে।
         
এছাড়া কোটি টাকা ব্যয় করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০১৩ সালে ডিজিটাল এক্সরে মেশিন, ২০২০ সালে ইসিজি মেশিন এবং ২০১৪ সালে ডিজিটাল আল্ট্রাসনোগ্রাফী মেশিন সরবরাহ করা হয়। ৪টি মেশিন সরবরাহ করার পরও কোন টেকনিশিয়ান (সনোলিস্ট/রেডিওগ্রাফার) পদে লোক না থাকায় কোটি টাকার মেশিনগুলোর সুবিধা রোগীদের দিতে পারছে না। এতে করে হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা রোগীরা এসব যন্ত্রের সুবিধা না পেয়ে বাহিরে ব্যয়বহুল খরচে পরীক্ষা নিরিক্ষা করাতে হচ্ছে।
 
আরো জানা যায়, এ হাসপাতালে ১টি এম্বুলেন্স সচল আছে। বহি:বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ২শ থেকে ৩শ রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করে। মাঠ পর্যায়ে ২৫টি কমিনিউটি ক্লিনিক ও ৩টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা পরিচালিত হচ্ছে।
          
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত একজন ডাক্তার বলেন, ‘আমরা অনেক কষ্ট করে রোগীদেরকে সেবা দিচ্ছি। ১৪ জন ডাক্তারের জায়গায় আমরা ৪ জন ডাক্তার সেবা দিচ্ছি। তাছাড়া অতিরিক্ত সময়েও ডিউটি করতে হয়।’
           
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী সাদেক মিয়া, কামাল আহমেদ ও পপি আক্তার ডলি বলেন, ‘হাসপাতালে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকলেও আগত রোগীদের কোন পরীক্ষা-নিরিক্ষার প্রয়োজন হলে টেকনিশিয়ানের অভাবে করানো যাচ্ছে না। বেশি টাকা খরচ করে বেসরকারী সেন্টারে করাতে হচ্ছে। ঔষুধ থাকে না নিয়মীত। বাহির থেকে কিনে খেতে হয়। ডায়বেটিকস এর ঔষুধ ৪ মাস থাকলে ৮ মাস থাকে না। আমরা গরীব মানুষ কিভাবে এসব ঔষুধ কিনে খাব। না মরে আমরা বেচে আছি। এছাড়া হাসপাতালটির রোগী থাকার ওয়ার্ডগুলোর বাথরুম সমূহ নিয়মিত পরিস্কার করা হয়না ও পেছনের অংশে ময়লা আর্বজনার স্তুপ জমে থাকায় নোংরা পরিবেশ বিরাজ করছে।’ 
            
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া জনবল সংকটের কথা নিশ্চিত করে বলেন,‘৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় হাসপাতাল উন্নতি করা হয়েছে কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবল এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বিশেষ করে ফার্মাসিস্টে ৪ জনের মাঝে ৪জনই আছে। নার্সেরও সমস্যা নেই। সমস্যা শুধু এমবিবিএস সহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের। আমাদের সবাই আন্তরিক থাকায় জনবলের সংকট নিয়েও রোগীদেরকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। যদি জনবল বৃদ্ধি করা হয় তাহলে আরও ভালো সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়া এক্সরে, ইসিজি, ডিজিটাল আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন আছে। তবে টেকনিশিয়ান (সনোলষ্টি/রেডিওগ্রাফার) না থাকায় মেশিনগুলো চালুর জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট পত্র পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ঔষুধের বিষয়ে তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ঔষুধ চলে আসবে। রোগীদের ভোগান্তিতে থাকতে হবে না।’ 

এসআর


« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,