থমকে গেছে পাহাড়ের পর্যটন শিল্প
Published : Thursday, 25 July, 2024 at 3:43 PM Count : 174
কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও কারফিউর প্রভাব পড়েছে পাহাড়ের পর্যটন শিল্পে। রাঙামাটির সাজেক ভ্যালিসহ তিন পার্বত্য জেলার ছোট-বড় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সবই এখন পর্যটক শূন্য। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় এলাকাগুলোয় আটকে পড়া পর্যটকরাও এরই মধ্যে গন্তব্যে ফিরে গেছেন।
এক সপ্তাহ ধরে চলমান এ পরিস্থিতিতে পর্যটক খরায় পড়েছেন উদ্যোক্তারা। পর্যটন শিল্পে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছে এখানকার পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িতরা।
পাহাড়ের পর্যটন শিল্পের ওপর দেশের চলমান পরিস্থিতির প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন রাঙামাটির কটেজ মালিকরা। তারা বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলে পাহাড়ের পর্যটন খাত ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
রাঙামাটির পাশাপাশি অন্য দুই পার্বত্য জেলার পর্যটন খাতের অবস্থাও একই বলে জানিয়েছেন সেখানকার উদ্যোক্তারা।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা জানান, সাজেকে ব্যবসার পরিস্থিতি ভালো নয়। সাজেক ভ্যালি পর্যটক শূন্য গত শুক্রবার থেকেই। এ এলাকার ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখে বাড়িতে চলে গেছেন। রিসোর্ট ও কটেজগুলোতেও দু-একজন ছাড়া কর্মীর উপস্থিতি নেই। মোবাইল নেটওয়ার্কও ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। একই চিত্র রাঙামাটির অন্য হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতেও। এই কয়েকদিনে আমাদের সাজেকের রিসোর্টগুলোতে প্রায় দেড় কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
জেলা পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ‘গত রোববার পর্যন্ত রিসোর্টগুলোয় কিছু পর্যটক ছিল। সোমবার সকালে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কারফিউ পাস নিয়ে ফিরে গেছেন। কয়েকদিনে আমাদের পর্যটন কর্পোরেশনে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।’
রাঙামাটির ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও পর্যটন বোট ঘাটের ব্যবস্থাপক রমজান আলী বলেন, ‘পর্যটকের অভাবে সব কিছু বন্ধ। বোটচালকরাও অলস সময় কাটাচ্ছেন।’
রাঙামাটি জেলা আবাসিক হোটেল-মোটেল বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দীন বলেন, ‘সারাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে পর্যটন খাত থমকে গেছে। বিগত পাঁচ দিনে আমাদের এখানের প্রায় ৫৪টি আবাসিক হোটেলগুলোতে প্রায় তিন কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।’
-এসআই/এমএ