ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের ওপর হামলা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাতীমূলক কাজ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে পুলিশের কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগ ৬৪ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও ৫০০ থেকে ৬০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলাটি দায়ের করেন গৌরীপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর অনিক ইসলাম। এ মামলায় পুলিশ বুধবার তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রামগোপালপুর ইউনিয়নের গুজিখাঁ গ্রামের শাহ আলম, ডৌহাখলা ইউনিয়নের চুড়ালী গ্রামের সুলতান মাহমুদ ও নন্দীগ্রামের জাহাঙ্গীর আলম।
এ মামলায় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণকে ১ নং আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট নুরুল হক, জেলা বিএনপির সদস্য হাফেজ আজিজুল হক, ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম, জেলা বিএনপির সদস্য মো. ফারুক আহাম্মদ, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি শামছুল আলম ভিপি শামছু, কলতাপাড়া বাজার সমিতির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান কাজল, গৌরীপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান জিয়া, সাবেক কাউন্সিরল মনিরুজ্জামান পলাশ, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম পাপ্পু, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নুরুজ্জামান সোহেল, গোলাম বাহালুল মুনশী, এসএম দুলাল ওরফে পেট্টোল দুলাল, ইমরান, রহিম আকন্দ, শাকীব মুনশী, মেহেদী হাসান সাগর, হান্নান সরকার, কুররোম মিয়া, অন্তর সরকার, কামরুল, নাজমুল হাসান, মেহেদী হাসান, নাঈম, আমির হামহা হিমেল, মনিরুজ্জামান মানিক, তানভীর, দুর্জয় মজুমদার, হৃদয়, আব্দুস সামাদ, শরিফ মিয়া, হাবিবুর রহমান বুলেট, আনোয়ার হোসেন আনু, বিল্লাল, শাহীন, ইব্রাহিম, আজিজুল, ফারুক চৌধুরী, আতিকুর রহমান রাজন, মজিবুর, সোহেল মিয়া, শাহ আলম, সিরাজুল ইসলাম, মিজান, জোনায়েদ, শামীম, সারোয়ার হোসেন, আমিরুল, শফিকুল, মাসুদ, মামুন, আমিরুল ইসলাম, নয়ন, মানিক, ইমন, আপন, সাইদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, শাওন, এম.এ বাশার ঝুলন, তাজুল ইসলাম রাঙ্গা, লিটন মিয়া, লাল খাাঁ, গোলাম আমিমুল হালিম শোয়েব মুনশীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
অপরদিকে, কলতাপাড়া তিন জন নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করেন গৌরীপুর থানা সাব-ইন্সপেক্টর মো. শফিকুল আলম।
-এসআই/এমএ