তিস্তার ভাঙনে অর্ধ শতাধিক ঘর-বাড়ি বিলীন
Published : Wednesday, 24 July, 2024 at 9:00 PM Count : 94
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে বেশ কয়েক জায়গায় ব্যাপক ভাবে ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে। গত তিন/চার দিনে তিস্তা নদীর ভাঙনে ৫০টি ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের শিকার আরও কয়েকটি পরিবারের অসহায় মানুষজন তাদের বাড়ি-ঘর নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন।
খিতাব খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ ও কবরস্থানসহ আরও প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়ি হুমকীর মুখে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নজরদারী না থাকায় ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। অসহায় পরিবারগুলো খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ বড়দরগা গ্রামে তিস্তা নদীন ভাঙনে গত তিন/চার দিন ধরে সিরাজুল ইসলাম (৩৫), সহিদুল ইসলাম (৩৮), হারুন অর রশিদ (৪৫), আবুল হোসেন (৩৫), আতিকুল ইসলাম (৪০), আশরাফুল আলম (৫০), সাহিদুল ইসলাম (৪৬), শফিকুল ইসলাম (৪৮), নুরুল হক (৪০), শামছুল হক (৪০), জিয়ারুল (৩৫), আ. করিম (৫৫), মফিক ঘাটিয়াল (৩৬) ও আবুল হোসেনের (৩০) বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে।
অনেকে তাদের বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিয়ে উঁচু, জায়গায়, রাস্তার পাশে এবং অন্যের জায়গায় কোনো রকমে মাথা গুজে আছে। এসব দেখার কেউ নেই। সরকারের মহাপরিপকল্পনা বাস্তবায়ন বিলম্বের কারণে এসব ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হচ্ছে বলে স্থানীয় সচেতন মহল দাবি করছে। ইতোমধ্যে নদী ভাঙনের কারণে ভিটে-মাটি ও ফসলি জমিসহ কয়েক কোটি টাকার সম্পদ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকায় জনসাধারণের সাময়িক দুর্ভোগ লাঘবের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে এক কেজি মুড়ি, এক কেজি চিড়া, এক প্যাকেট বিস্কুট, মোমবাতি, চারটি খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়। তবে ইহা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে নগন্য বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
মঙ্গলবার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ওই এলাকার মেম্বার তিনটি বাড়ি ভাঙনের তথ্য দিয়েছেন। তাদের ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাদিজা বেগম বলেন, আপাতত আমাদের ত্রাণ ছাড়া কিছু করার নেই।
পিএম/এমএ