নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা
Published : Sunday, 14 July, 2024 at 12:54 PM Count : 184
বরগুনার আমতলীতে চলতি বর্ষা মৌসুমে নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। পশ্চিম চুনাখালী গ্রামের পাশে গেলেই শোনা যায় ঠুকঠাক শব্দ। চলছে নৌকা তৈরির ধুম।
বর্ষাকাল এলেই এলাকার মানুষের প্রয়োজন হয় নৌকার। নৌকা তৈরিকে ঘিরে জীবিকার তাগিদে গড়ে উঠেছে উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের চুনাখালী গ্রামের মানুষের নৌকা তৈরি পেশা।
চুনাখালী বাজারের ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ নৌকা তৈরি করছি। এছাড়া আমি বিভিন্ন হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে কলাপাড়া মহিপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় যাই। আর বছরে সারা বছরই নৌকা বানাই। কিন্তু বর্ষা মৌসুমের সময় আমার কারিগররা দম ফেলার সময় পান না। প্রতি মাসে প্রায় ৫০টি নৌকা বানানো হয় দুই-একটা ছাড়া সব নৌকা বিক্রি হয়ে যায়।
১০০ বছর ধরে বংশ পরম্পরায় এ পেশাটি ধরে রেখেছে এ গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার। গ্রামটি এখন সবার কাছে নৌকা তৈরির গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। কর্মসংস্থান হয়েছে একাধিক মানুষের।
পশ্চিম চুনাখালী গ্রামের লিমন জানান, দূর-দূরান্তের মানুষ এ গ্রামকে ‘নৌকা গ্রাম’ হিসেবে চেনেন। প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় পলিথিন টানিয়ে আবার কেউ খড়ের ছাপড়া দিয়ে নৌকা তৈরির জন্য অস্থায়ী ঘর বানিয়েছেন। দু’জন কাঠমিস্ত্রি মিলে গড়ে প্রতিদিন একটি নৌকা তৈরি করতে পারেন। প্রতি সপ্তাহে কারিগররা পান ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। এখানকার তৈরি নৌকাকে এ এলাকায় ডিঙ্গি নৌকা বলে। সহজেই ও অল্প পানিতে এ নৌকা চলাচল করতে পারে। তাই এ নৌকার চাহিদা এলাকায় বেশি।
কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বোরহান উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম তালুকদার জানান, পূর্ব চুনাখালী গ্রামটি নৌকা তৈরির জন্য খ্যাতি অর্জন করেছে। তাদের এ পেশাটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারের সহজ শর্তে ঋণ দেয়া প্রয়োজন।
-এসকে/এমএ