মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে পরিচালক কারাগারে
Published : Saturday, 13 July, 2024 at 4:59 PM Count : 405
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে মাদ্রাসার পরিচালককে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাকে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দাউদকান্দি মডেল থানায় হস্তান্তর করেন র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)- ১১ এর সদস্যরা।
ধর্ষক মাওলানা নাছির উদ্দীন পাটোয়ারী মোহাম্মাদিয়া মিসবাউল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক।
গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেন ধর্ষক মাওলানা নাছির পাটোয়ারী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম শিশুর বাবা একজন প্রবাসী এবং মা গৃহিনী। ভিকটিম ও তার ভাই দাউদকান্দির খালিশা গ্রামের মোহাম্মাদিয়া মিসবাউল উলুম মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। গ্রেপ্তার মাওলানা নাছির পাটোয়ারী ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালক। গত ০৪ জুলাই ভিকটিম ও তার ভাই মাদ্রাসায় ক্লাস করতে যায়। ওইদিন আবহাওয়া খারাপ থাকায় এবং বর্ষণের কারণে মাদ্রাসার অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল। ধর্ষক নাছির পরিবারসহ মাদ্রাসার পেছনের একটি বাড়িতে বসবাস করেন। সে দিন তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে অনুপস্থিত ছিল।
এই সুযোগে ভিকটিমকে ঘর ঝাড়ু দেয়ার কথা বলে মাদ্রাসা থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন নাছির উদ্দীন। এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। বাড়িতে গিয়ে ভিকটিম কান্নাকাটি করলে একপর্যায়ে তার মায়ের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলে। ঘটনা জানাজানির সাথে সাথেই পালিয়ে যান মাওলানা নাছির পাটোয়ারী। পরে ভিকটিমের মা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা করেন। তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ মানববন্ধন করে আসছিলেন এলাকাবাসী।
র্যাব-১১ কুমিল্লা সিপিসি-২ এর উপ-পরিচালক লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন নাছির উদ্দীন।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, ধর্ষক মাওলানা নাছির পাটোয়ারীকে র্যাব- ১১ এর সদস্যরা আটক করে দাউদকান্দি মডেল থানায় হস্তান্তর করেন। আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
-কেএইচ/এমএ