কোরবানির গরু পালনে পিছিয়ে নেই নারীরাও
Published : Wednesday, 12 June, 2024 at 2:40 PM Count : 230
দেশের শতকরা ৮৬ ভাগ মানুষ গ্রামে বাস করে। গ্রামের নারীরা সংসারের পাশাপাশি মাঠেও কাজ করেন। তারা ঘরের কাজ করার পাশাপাশি স্বামীর জন্যে মাঠে খাবার নিয়ে যাওয়া, তারপর আবার বাড়িতে এসে টুকটাক আরো কিছু কাজ সারতে হয় তাকে।
এর ফাঁকে আবার মাঠে কৃষি কাজে স্বামীকে সহযোগিতাও করেন নারীরা। স্বামী যখন জমিতে হাল টানেন তখন স্ত্রীরা সেখানকার আগাছা পরিষ্কার করেন। গ্রামীণ সব নারী ঘরের কাজের পাশাপাশি চাষাবাদের কাজে স্বামীকেও সহাযতা করেন।
এখন গ্রামের নানা রকম উন্নয়নমূলক কাজে জড়িত থাকেন নারীরা। সারা দিন কাজের তালেই থাকেন তারা। গ্রামের নারীরা, মূলত নিজেরা আয় করে সেই অর্থ সংসার এবং সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য সংগ্রহ করতে আগ্রহী থাকেন সর্বদা। এ জন্যই গ্রামীণ নারীদের কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তারই ধারাবাহিকতায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বেশকিছু গ্রামের নারীরা পুরুষের পাশাপাশি পবিত্র ঈদ-উল-আজহার জন্য কোরবানির গরু মোটাতাজা করতে কাজ করছেন।
তেমনই একজন চরফ্যাশন উপজেলার আবদুল্লাহপুর দক্ষিণশীবা এলাকার মাহিনুর বেগম (৩৫)। প্রথমে একটি গরু দিয়ে কাজ শুরু করেন। এভাবে ধীরে ধীরে বাড়তে বাড়তে বর্তমানে তার পাঁচটা গরু পবিত্র ঈদ-উল-আজহার জন্য প্রস্তুত করেছেন।
শুরু থেকে তার সংসারে ছিলো নানা রকম সমস্যা। কারণ তখন তার স্বামী কোনো কাজ করতেন না। সংসারে ছিলো অনেক খরচ। পরে তার স্বামী কৃষি কাজে নিয়োজিত হন পাশাপাশি মাহিনুর বেগম সংসারের কাজ শেষে অন্য কাজ করেন। বর্তমানে তার সংসারের অবস্থা উন্নতি হলেও মাহিনুর বেগম তার সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য নিজে গরু মোটাতাজাকরণে কাজ করছেন।
মাহিনুর বেগম বলেন, গো-খাদ্যের দাম ও শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় আসন্ন কোরবানিতে পশুর প্রত্যাশিত দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তায় আছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে সম্প্রতি ৮৯০টির বেশি খামারে ৮৯৫ জন খামারি গরু মোটাতাজাকরণসহ বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। এমনকি কুরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১৪ হাজার ২৩১টি উপযুক্ত পশু। এখানকার চাহিদা ১৩ হাজার ৮০০ পশু। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় প্রায় ৪৩১টি গবাদিপশু বেশি প্রস্তত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে জাত ভেদে গরুর সংখ্যা ৬ হাজার ১১৫টি, মহিষ ৩০০টি এবং ছাগল ২ হাজার ১১৫টি ও ভেড়া ১ হাজার ১১টি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রহমত উল্লাহ বলেন, গত বছরের চেয়ে উপজেলায় গবাদিপশুর খামার ও প্রস্তুতকৃত পশুর সংখ্যা বেড়েছে। তবে, পশুখাদ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। এতে করে খামারির সংখ্যা ও পশুর সংখ্যাও কিছুটা কমেছে। তা না হলে এবার কোরবানিতে পশুর সংখ্যা আরও বেশি হতো।
-এসএফ/এমএ